(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
RG Kar Case: আওয়াজ তুলছে বঙ্গ ক্রিকেটও, আর জি কর ইস্যুতে দোষীদের শাস্তির দাবিতে মুখ খুললেন মনোজ, ঋদ্ধি
Manoj And Wriddhi On RG Kar: ক্রিকেট মাঠেও এবার উঠল স্বর। তারকা ক্রিকেটাররাও বলছেন, ''জাস্টিস ফর আর জি কর''। মুখ খুললেন মনোজ তিওয়ারি ও ঋদ্ধিমান সাহা।
কলকাতা: আর জি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। রাজ্যজুড়ে গত এক মাস ধরে এই ঘটনার সমালোচনায় পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ থেকে নাগরিক সমাজ। বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষরা এগিয়ে এসেছেন। এবার ক্রিকেটের মাঠেও আর জি কর ইস্য়ুতে মুখ খুললেন ২ তারকা ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি ও ঋদ্ধিমান সাহা। এদিন কালীঘাট ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন বাংলা ক্রিকেট দলের তিন তারকা ক্রিকেটার মনোজ, ঋদ্ধি ও অনুষ্টুপ। সেখানেই ভারতীয় দলে খেলা ২ তারকা ক্রিকেটার আর জি কর ইস্যু নিয়েও মুখ খুললেন।
শিবপুরের বিধায়ক ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ বলেন, ''আর জি করের ঘৃন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। যাঁরা যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের শাস্তি হোক। ফাঁসির শাস্তি হোক। আমাদের রাজ্য থেকেও এই বিষয়ে বিল আনা হয়েছে। বিধানসভায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এই বিল নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যাতে পরবর্তীতে এমন জঘন্য অপরাধ কেউ করতে না পারে। কারও মাথাতেও যেন এমন কিছু করার কথা না আসে।''
ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে ৪০টি টেস্ট ও ৯টি ওয়ান ডে ম্য়াচ খেলা ঋদ্ধিমান সাহা বলেন, ''সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলাম। তবে আবারও বলব যে সঠিক মানুষ যেন কড়া শাস্তি পায়। রাস্তায় নামি বা না নামি, দোষী যেন কড়া শাস্তি পায়।''
এর আগে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আর জি কর কাণ্ড নিয়ে এমনই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা। শুধু রাজ্য নয়, আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। এমনকী, দেশের বাইরেও জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন। এ নিয়ে আগেই মুখ খুলেছেন যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, জেমাইমা রড্রিগেজের মতো ক্রিকেটারেরা।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋদ্ধিমান লিখেছিলেন, 'কলকাতায় হওয়া ঘৃণ্য ঘটনায় আমার হৃদয় ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। বাবা হিসেবে আমি যন্ত্রণাবিদ্ধ। সেই সঙ্গে ভীষণ ক্ষুব্ধও। আমাদের বাচ্চাদের যদি সুরক্ষা দিতে না পারি, তাহলে নিজেদের কীভাবে মানুষ বলে পরিচয় দেব? এই সমাজের এখন জেগে ওঠার সময় হয়েছে। বিশ্বে আরও ভাল জায়গা দরকার মহিলাদের। মেয়েদের নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে। ভয়-ভীতি সরিয়ে রেখে সহজ-সাবলীল ভাবে যাতে মেয়েরা ঘুরে বেড়াতে পারেন, সেদিকে নজর দিতে হবে।'