Bengal Coronavirus: রেমডেসিভির ও টোসিলিজুমাব ব্যবহার নিয়ে নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের
পাশাপাশি, ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি বা কোনও চিকিত্সককে ব্যক্তিগতভাবে রেমডেসিভির ও টোসিলিজুমাব যেন সরবরাহ না করে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা।
কলকাতা: করোনা প্রতিরোধে রেমডেসিভির ও টোসিলিজুমাব ব্যবহার নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে সরাসরি ওষুধ সরবরাহ করবে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। কতটা পরিমাণ ওষুধ লাগবে, তা নির্ধারিত হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সিসিইউ বেড ও রোগীর সংখ্যার নিরিখে। পাশাপাশি, ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি বা কোনও চিকিত্সককে ব্যক্তিগতভাবে রেমডেসিভির ও টোসিলিজুমাব যেন সরবরাহ না করে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। করোনা প্রতিরোধে এই দুটি ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার রুখতেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় গতকাল শপথগ্রহণের পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়াতে আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে ভ্যাকসিনের জোগান বাড়াতেও আবেদন জানিয়েছেন। বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ১০ হাজার ডোজ রেমডিসিভির লাগবে প্রতিদিন।
দেশে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমডিসিভরের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। কিন্তু এর যোগান চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এরফলে এই ওষুধ নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগও দেশের কোনও কোনও স্থান থেকে উঠে আসছে। যোগানে অপ্রতুলতার কারণেই এই দুটি ওষুধ নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ।
রাজ্যে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার সংক্রমণ।বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ১৮ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের। পরিস্থিতির বিচার করেই তাই গতকালই তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়ে আংশিক লকডাউনে আরও কড়াকড়ির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের বিভিন্ন বণিকসভাকে এগিয়ে আসার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবারের মতো রাজ্যের বিভিন্ন বাজারের দায়িত্ব তাদেরকে নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। এমনিতেই রাজ্যে ৫০ জনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই অবস্থায় বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে জনমানসে পরিস্থিতির গুরুত্ব নিয়ে বাড়তি সচেতনতা প্রসারের বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে কোনও এলাকায় যাতে ভিড় না হয় সেটা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলোকে এগিয়ে আসার ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।