(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Russia Ukraine War: রাশিয়াকে সাহায্য করলে পরিণতি ভোগ করতে হবে চিনকে, হুঁশিয়ারি আমেরিকার
Ukraine Russia Conflict: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে চিনের থেকে সাহায্য চেয়েছে রাশিয়া। সামরিক অস্ত্র এবং অন্যান্য পরিকাঠামোগত সাহায্যও চেয়েছে রাশিয়া। দাবি মার্কিন প্রশাসনের
নয়া দিল্লি: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধাবহে ফের করা হুঁশিয়ারি দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বেইজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধে মস্কোকে কোনওরকম সাহায্য করলে অন্য পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে চিনকে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর মস্কো চিনের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম এবং সমর্থন উভয়ই চেয়েছিল বলে জানা যায়। সেই প্রেক্ষিতেই এই মার্কিনি হুঁশিয়ারি।
সুলিভান বলেন, "আমরা বেজিংয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সরাসরি যোগাযোগ করছি যে, বৃহৎ আকারের নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দেওয়ার প্রচেষ্টা বা রাশিয়াকে সমর্থন করার জন্য তাদের চেষ্টার জন্য পরিণতি ভোগ করতে হবে। আমরা এটিকে এগিয়ে যেতে দেব না। বিশ্বের যে কোনও দেশ থেকে এই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলি থেকে রাশিয়ার জন্য একটি লাইফলাইন হতে দেব না।"
ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। তার পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা (usa)। একই পথে হেঁটেছে কানাডা-অস্ট্রেলিয়া সহ ইউরোপের একাধিক দেশ। যুদ্ধ শুরু কিছুদিনের মধ্যেই সুইফট (swift) ব্যাঙ্কিং সিস্টেম থেকে বাদ দেওয়া হয় রাশিয়ার ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন প্রক্রিয়া চালাতে সমস্যা পড়ে রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি। কোপ পড়ে রাশিয়ার একাধিক আমদানি-রফতানি সংস্থার উপরেও। রাশিয়ার আয়ের একটা বড় অংশ নির্ভর করে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানির উপরে। সুইফট থেকে বাদ পড়ার কারণে ধাক্কা খায় এই বাণিজ্য। এর পরপরই রাশিয়ার জন্য নিজেদের আকাশসীমাও বন্ধ করে দেয় কানাডা-সহ ইউরোপের একাধিক দেশ। ব্যবসায় ধাক্কা দেয় সেটিও। এরপর রাশিয়ার তেলের (oil) উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা।
ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে কসুর করেনি আমেরিকা। সেনা না পাঠালেও টানা আর্থিক সাহায্য করে আসছে আমেরিকা। পাঠানো হচ্ছে বিপুল পরিমাণ আধুনিক অস্ত্র। একই পথে হেঁটেছে একাধিক দেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে এই কারণেই হিসেব গন্ডগোল হতে পারে রাশিয়ার। বেশিদিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হচ্ছে পুতিনবাহিনীকে। ইউক্রেনের দাবি অনুযায়ী হামলা চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে রাশিয়ারও। সব মিলিয়ে এবার নিজেদের পাশে আরও একটি বড় শক্তিকে পেতে চাইছে রাশিয়া। এমনটাই মনে করছে আমেরিকা প্রশাসনের একটি অংশ।