৭ বছরে সর্বনিম্ন, দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াল ৪.৭ শতাংশ
শুক্রবার এমনই তথ্য় প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিস (এনএসও) বা জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর।
নয়াদিল্লি: ফের জিডিপিতে পতন। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াল ৪.৭ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে একই সময়ে এই হার ছিল ৫.৬ শতাংশ। গত সাত বছরে যা সর্বনিম্ন। শুক্রবার এমনই তথ্য় প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিস (এনএসও) বা জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর।
তৃতীয় ত্রৈমাসিকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার কমে হয়েছিল ৪.৩ শতাংশ। তার পর, এত কম বৃদ্ধির হার ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে। যদিও, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের পরিসংখ্যানে বৃদ্ধির হারের সংশোধিত তথ্যে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আগে বলা হয়েছিল দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপির হার ৪.৫ শতাংশ। কিন্তু, এখন নতুন রিপোর্টে তা সংশোধিত করে বলা হয়েছে ৫.১ শতাংশ।
সদ্য প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষে একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন শিল্পে বৃদ্ধির হার ০.২ শতাংশ কমে ৫ শতাংশ হয়েছে। তবে, কৃষিক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩.৫ শতাংশ হয়েছে। নির্মাণশিল্পের হার ০.৩ শতাংশ কমে হয়েছে ৬.৩ শতাংশ। এছাড়া বিদ্যুৎ, জ্বালানি, জল সরবরাহ ও অন্যান্য পরিষেবা মূলক ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ০.৭ শতাংশ কমে হয়েছে ৯.২ শতাংশ।
অন্যদিকে, বাণিজ্য থেকে শুরু করে হোটেল, পরিবহণ, যোগাযোগ ও সম্প্রচার পরিষেবার ক্ষেত্রে বড় পতন হয়েছে। একেবার ৭.৮ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৫.৯ শতাংশ। আর্থিক, রিয়েল এস্টেট ও পেশাদার ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ইতিবাচক। গত বছরের তুলনায় তা ০.৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭.৩ শতাংশ। জনস্বার্থ প্রশাসক থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। ৮.১ শতাংশ থেকে তা বেড়ে হয়েছে ৯.৭ শতাংশ।
প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালের এপ্রিল-ডিসেম্বর সময়ে জিডিপির হার তার আগের বছরের তুলনায় ৬.৩ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৫.১ শতাংশ। রিপোর্ট বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে মাথাপিছু গড় আয় আগের বছরের তুলনায় ১,২৬,৫২১ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১,৩৪,৪৩২ টাকা।
অর্থনৈতিক বিষয়ক সচিব অতনু চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক হ্রাসের অধ্যায় পার হয়ে গিয়েছে। জানুয়ারি মাসে কয়লা, বিদ্যুৎ ও সংশোধনাগার সহ আটটি মূল শিল্পের সমষ্টিগত বৃদ্ধি ২.২ শতাংশ। চলতি মাসে রেপো রেট ৫.১৫ শতাংশে রেখেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ডিসেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি ৭.৩৫ শতাংশ ছুঁয়েছে।