কার্যত হার স্বীকার ডোনাল্ড ট্রাম্পের, দিলেন ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ
ভাঙলেন তবু মচকালেন না......
ওয়াশিংটন: ভাঙলেন তবু মচকালেন না ডোলান্ড ট্রাম্প। নিজের পরাজয় কার্যত স্বীকার করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জো বাইডেন নেতৃত্বাধীন ডেমোক্র্যাট প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের নির্দেশ দিলেন আধিকারিকদের। যদিও, এখনও দাবি করছেন, ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে তিনিই জয়ী।
সোমবার রাতে একটি ট্যুইট করে তিনি জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান এমিলি মারফিকে নির্দেশ দিয়েছেন, বাইডেনকে আমেরিকার ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে।
ট্রাম্প লেখেন, দেশের স্বার্থকে মাথায় রেখে আমি এমিলি ও তাঁর টিমকে নির্দেশ দিচ্ছে, প্রোটোকল অনুযায়ী যা যা করণীয় তা করার। আমার টিমকেও একইভাবে বলেছি, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে। যদিও, একইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, আমাদের দাবি এখনও জীবিত। আমরা লড়াই করব। আমার বিশ্বাস, আমরাই টিকব।
I want to thank Emily Murphy at GSA for her steadfast dedication and loyalty to our Country. She has been harassed, threatened, and abused – and I do not want to see this happen to her, her family, or employees of GSA. Our case STRONGLY continues, we will keep up the good...
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) November 23, 2020
...fight, and I believe we will prevail! Nevertheless, in the best interest of our Country, I am recommending that Emily and her team do what needs to be done with regard to initial protocols, and have told my team to do the same.
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) November 23, 2020
সম্প্রতি, বাইডেন সতর্ক করে বলেন, ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হলে নতুন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে আরও দেরি হবে। ফলে, আরও বেশি সংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হবেন।
পর্বেক্ষকদের মতে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, গত ১৬ দিন ধরে নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন তিনি। ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করছিলেন তিনি। যদিও, এখনও ট্রাম্প মনে করেন, তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
এদিকে, মারফি অবশ্য জানিয়েছেন, ট্রাম্পের কথায় তিনি সহযোগিতা করতে রাজি হননি। এই সিদ্ধান্ত তাঁর নিজের। তিনি বলেছেন, আমি স্বাধীনভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাকে কেউ জোর করেননি। আমার ওপর কেউ চাপসৃষ্টিও করেননি। আমি আইন ও তথ্য় বিচার করে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন টিম বাইডেনের কার্যনির্বাহী অধিকর্তা ইয়োহ্যান আব্রাহাম। তিনি বলেন, অতিমারী নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনীতির হাল ফেরানো থেকে শুরু করে দেশে চলতে থাকা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।
ট্রাম্পের এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই বিদেশ নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের ঘোষণা করেন। যেমন-- বিদেশসচিব হিসেবে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেডের নাম ঘোষণা করা হয় বাইডেনের তরফে।