Maharashtra Politics: বিরোধ ভুলে এক হচ্ছেন ঠাকরে ভাইরা? পুনর্মিলনের ইঙ্গিত উদ্ধব ও রাজের, মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ফের কি পট পরিবর্তন?
Uddhav Thackeray-Raj Thackeray Reunion: উদ্ধব এবং রাজ, দু’জনই পুনর্মিলনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। পৃথক অনুষ্ঠান থেকে তাঁরা মহারাষ্ট্রের মানুষের উদ্দেশে বার্তা দেন।

মুম্বই: মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বড় পট পরিবর্তনের ইঙ্গিত। দীর্ঘদিন পরস্পরের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা দুই ভাই ফের এক হতে চলেছেন বলে খবর। শোনা যাচ্ছে, দ্বন্দ্ব ভুলে ফের এক হচ্ছেন বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে উদ্ধব ঠাকরে এবং বালাসাহেবের ভাইপো রাজ ঠাকরে। মারাঠা সংস্কৃতি এবং পরিচয় রক্ষার তাগিদই তাঁদের ভাঙা পরিবারকে ফের এক করে দিচ্ছে বলে খবর। (Maharashtra Politics)
উদ্ধব এবং রাজ, দু’জনই পুনর্মিলনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। পৃথক অনুষ্ঠান থেকে তাঁরা মহারাষ্ট্রের মানুষের উদ্দেশে বার্তা দেন। জানান, রাজ্যের স্বার্থ, মারাঠা সংস্কৃতি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ঊর্ধ্বে। তাঁরা একত্রিত হলে, তাতে রাজ্যের মঙ্গল বলেও জানিয়েছেন। জোর করে হিন্দি চাপানোর অভিযোগ থেকে একাধিক ইস্যুতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমা হচ্ছে। আর সেই আবহেই উদ্ধব এবং রাজ এক হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। (Uddhav Thackeray-Raj Thackeray Reunion)
মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ বলেন, “উদ্ধব এবং আমার বিরোধ, লড়াই খুবই নগণ্য। মহারাষ্ট্র এই সবকিছুর থেকে অনেক বড়। ফের এক হওয়া মোটেই কঠিন নয়। ইচ্ছে থাকলেই হয়। এর মধ্য়ে আমার কোনও কামনা, স্বার্থ জড়িয়ে নেই।” রাজ্যবাসী তাঁদের একসঙ্গে দেখতে চাইলে, তাঁর অহং বাধা হবে না বলেও জানান রাজ।
অন্য দিকে, রাজের সঙ্গে পুনর্মিলনে আপত্তি না থাকলেও একটি শর্ত রেখেছেন উদ্ধব। তাঁর কথায়, “সামান্য মতবিরোধ আমি সরিয়ে রাখতে রাজি। কিন্তু একটা শর্ত আছে। আজ সমর্থন করছি, কাল আবার বিরোধিতা করছি, শিবির পাল্টে ফেলছি, এটা হতে পারে না। মহারাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের স্বাগত জানাব না, বাড়িতে আপ্যায়ন করব না, পাশে বসব না আমি।”
শিবসেনা (উদ্ধব) সাংসদ সঞ্জয় রাউতও জানিয়েছেন, উদ্ধব এবং রাজ দু’জনই মতবিরোধ সরিয়ে রেখে এক হতে রাজি। কিন্তু মহারাষ্ট্র এবং শিবসেনা (উদ্ধব)-র শত্রুদের জায়গা দেওয়া উচিত নয় রাজ ঠাকরের। আর তাতেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে একসময় বালাসাহেবের উত্তরাধিকারী হিসেবে দেখা হতো রাজকে। রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হলেও, সেই সময় কার্যত রাজনীতি বিমুখ ছিলেন উদ্ধব। পরবর্তীতে উদ্ধব বালাসাহেবের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসেবে উঠে এলে, রাজ কোণঠাসা হয়ে পড়েন শিবসেনায়। বালাসাহেবের মৃত্যুর পর নিজের আলাদা দল গড়লেও, আগের সেই দাপট হারান রাজ। কিন্তু গত কয়েক বছরে পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতি সমর্থন জানালেও, রাজনৈতিক ভাবে কদর পাননি রাজ। অন্য দিকে, একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহে দল ভেঙে যাওয়ায় দুর্বল হয়ে পড়েছেন উদ্ধবও। এমন পরিস্থিতিতে দুই ঠাকরে-ভাই এক হলে বিজেপি-র চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে সামনেই যেখানে বৃহন্মুম্বই পুরসভা নির্বাচন।
মুখে যদিও উদ্ধব এবং রাজের প্রতি সমর্থনের কথাই জানিয়েছে সব দল। দেবেন্দ্র ফড়ণবীস জানিয়েছেন, মতবিরোধ ভুলে দুই ভাই এক হলে, ভালই। তবে তাতে NDA-র ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হর্ষবর্ধন সপকল জানান, মারাঠা ভাষা, মারাঠা সংস্কৃতিকে গুঁড়িয়ে দিতে চাইছে বিজেপি। ঠাকরে-ভাইরা মহারাষ্ট্র অস্মিতাকে ফের পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন। শরদ পওয়ারের কন্যা, NCP নেত্রী সুপ্রিয়া সুলেই উদ্ধব এবং রাজের পুনর্মিলন নিয়ে আশাবাদী। শিন্ডে শিবির যদিও এব্যাপারে নীরব। এই মুহূর্তে উদ্ধব এবং রাজের দিকে তাকিয়ে সকলে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
