Upper Primary interview Protest: হাইকোর্টের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ, তারপরেও প্রার্থীদের অসন্তোষ
West Bengal School Service Commission: আবেদনকারীদের একাংশ এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে অভিযোগ জানাতে যান। তাঁদের অভিযোগ, তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েও তাঁরা বাতিলের তালিকায়।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: নম্বর সহ উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশের পরও অসন্তোষ থামছে না। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে অভিযোগ জমা দিতে যান। তাঁদের অভিযোগ, তালিকাভুক্তদের থেকে বেশি নম্বর পেয়েও তাঁরা বাতিলের তালিকায়। নথি আপলোড করার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তা হয়নি বলে অভিযোগ চাকরি প্রার্থীদের। বিচারাধীন বিষয় বলে প্রতিক্রিয়া নয়, জানালেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর বৃহস্পতিবারই উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। হাইকোর্টের নির্দেশে একাধিক তালিকায় প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরেও রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের তালিকা ঘিরে চাকরি প্রার্থীদের অসন্তোষ থামছে না।
মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের বাসিন্দা মহম্মদ মিনহাউদ্দিন সিরাজ। তিনি এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে অভিযোগপত্র নিয়ে হাজির হন। তাঁর দাবি, ইন্টারভিউয়ের তালিকাভুক্ত প্রার্থীর থেকে বেশি নম্বর থাকা সত্ত্বেও তাঁর তালিকায় জায়গা হয়নি।
এরকম একাধিক চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি তাঁরা আপলোড করেছেন। প্রমাণ দেখিয়ে তাঁদের দাবি, নথি আপলোড না করার কারণে তাঁদের বাতিল তালিকায় রাখা হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা ত্রিষাতি রায় বা বীরভূমের বাসিন্দা আতিউর রহমানের একই অভিযোগ। ত্রিষাতির দাবি, ‘২০১৯-এ নাম ছিল। কিন্তু এখন রিজেক্টেড তালিকায়। বলছে নাকি আমার বিএড মার্কশিট আপলোড হয়নি। অথচ এখানে হায়েস্ট নম্বর ৭৯.৯। সেখানে আমার ৮০.৭৫ নম্বর থাকা সত্ত্বেও নাম রিজেক্টেড লিস্টে চলে গেছে।’
আতিউরের দাবি, ‘আমার ২০১৯-এ নাম ছিল। কিন্তু এখন বাতিল। বলছে, এইচ এস এর মার্কশিট আপলোড হয়নি। অথচ অনেকে কম নম্বরেও পেয়ে গেছে।’
এইঅভিযোগ প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। এই অবস্থায় কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো যাচ্ছে না।’
গত জুনে উচ্চ প্রাথমিকে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার শূন্যপদে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ হয়। সেই তালিকায় অস্বচ্ছতার অভিযোগে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
সেইসঙ্গে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, প্রকাশ করতে হবে নম্বর সহ সম্পূর্ণ তালিকা। ইন্টারভিউ তালিকা থেকে যাঁদের নাম বাদ গেল, তাঁদেরও নম্বর সহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেই তালিকাই বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু তা নিয়েও শুরু হল বিতর্ক।