RG Kar Doctor Death Case: আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে ইস্ট-মোহন সমর্থকদের সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস
Subhasish Bose: যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে সমর্থকদের জমায়েতে হাজির মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসুও। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাগদত্তা কস্তুরী ছেত্রীও।
কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডের (RG Kar Doctor Death Case ) প্রতিবাদে উত্তাল গোটা রাজ্য। আজ আয়োজিত কলকাতা ডার্বিতে (Kolkata Derby) সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে তৈরি ছিলেন ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, উভয় দলের সমর্থকরাই। টিফো, ব্যানার নিয়ে মাঠে প্রবেশ থেকে নির্যাতিতার হয়ে বিচার চেয়ে ম্যাচজুড়ে গলা ফাটানোর পরিকল্পা ছিল। কিন্তু সেইসবই ভেস্তে গিয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে বাতিল হয়েছে ম্যাচ। তবে তাতে সমর্থকদের থামানো যায়নি।
ডার্বি ভেস্তে গেলেও যুবভারতীর সামনে আছড়ে পড়ে প্রতিবাদের ঢেউ। আর জি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে পথে নামেন ময়দানের তিন প্রধানের সমর্থকরা। লাল হলুদ, সবুজ মেরুন ও সাদা কালো তিন দলের সমর্থকরাই আজ সুবিচারের দাবিতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে জমায়েত করেন। সেই জমায়েতে হাজির ছিলেন মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসুও (Subhasish Bose)। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাগদত্তা কস্তুরী ছেত্রীও। হাতে ছিল 'জাস্টিস ফর আর জি কর'-র ব্যানার।
শুভাশিস এবিপি আনন্দকে জানান, 'ম্যাচ বাতিল হওয়া আমাদের কাছে খুবই কষ্টকর। আমরা মাঠের ছেলে, প্রতিটি ম্যাচই আমরা খেলতে চাই। তবে তার থেকেও বড় বিষয় হল মহিলা নিরাপত্তা। তার জন্যই আমরা এই লড়াইটা করছি। এই লড়াইটা চলুক। যারা এই কাজগুলো করেছে, তারা যেন সবাই শাস্তি পায়। আমাদের বর্তমানে একটাই চাওয়া। সবাই চাইছে যে ন্যায়বিচার যেন হয়।'
ন্যায়বিচারের দাবিতে সব দলের সমর্থকদের এমন নজিরবিহীন সম্মিলিত আন্দোলন দেখে আপ্লুত শুভাশিস। তিনি বলেন, 'আজ ন্যায়বিচারের দাবিতে সব দলের সমর্থকগোষ্ঠী, ভাইবোনেরা রাস্তায় নেমেছো, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ করছ, তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ন্যায়বিচারের এই লড়াইয়ে সবাই একসঙ্গে এগিয়ে যাও।'
ডার্বি বাতিলের কারণ হিসাবে পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, 'ডুরান্ড ডার্বিতে অশান্তির চক্রান্ত করা হচ্ছিল। দর্শকদের মধ্যে মিশে অশান্তির ছক করা হয়েছিল। কয়েকটি অডিও ক্লিপ আমাদের হাতে এসেছে। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ম্যাচ বাতিল করতে হয়। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু আমাদের কাছে নির্দিষ্ট তথ্য আছে, অশান্তি তৈরির চেষ্টা হবে। সেই কারণে জমায়েত না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৫ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যুবভারতী চত্বরে BNSS-এর ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। কিছু সংগঠন অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে, সেই প্রমাণ আমাদের কাছে আছে'।
তবে ডার্বি বাতিল হলেও সমর্থকদের জমায়েত থামানো যায়নি। সেই জমায়েত আন্দোলন ঘিরেই রণক্ষেত্র বাইপাস, কাদাপাড়ায় পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। যুবভারতীর সামনে জমায়েতে হঠাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। সমর্থকদের বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়। পরে অবশ্য পুলিশ ছেড়ে দেয় তাঁদের। তবে এতেও কিন্তু প্রতিবাদের ঝাঁঝ এতটুকুও কমেনি। বিকেল গড়িয়ে রাত হলেও, চলছে প্রতিবাদ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।