Shani Sare Sati : শনির সাড়ে সাতি নিয়ে আতঙ্কে? জানুন কী এই সাড়ে সাতি? কোন পর্বে কী দুর্যোগ?
Shani Sare Sati Effect : শনির সাড়ে সাতি সাধারণত শুভ বলে মনে করা হয় না। শনি সাড়ে সাতি আড়াই বছর করে মোট তিনটি পর্বে বিভক্ত। আর্থাৎ মোট ৭ বছর।
Shani Uday : জ্যোতিষশাস্ত্রে ( Shani Astrology ) শনিদেবের ( Shani Effect ) গুরুত্ব অপরিসীম। শনি ( Shani ) মানুষকে তাদের কর্ম অনুসারে ভাল বা খারাপ ফল দেন। জ্যোতিষশাস্ত্রে শনির সাড়ে সাতিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। এটি সাড়ে সাত বছর স্থায়ী হয়। জন্মের সময় শনি যখন দ্বাদশ, প্রথম বা দ্বিতীয় ঘরে থাকে বা জন্মের সময় শনি চন্দ্রের উপর দিয়ে যায় তখন তাকে শনির সাড়ে সাতি দশা বলে। শনির সাড়ে সাতি সাধারণত শুভ বলে মনে করা হয় না। শনি সাড়ে সাতি আড়াই বছর করে মোট তিনটি পর্বে বিভক্ত। আর্থাৎ মোট ৭ বছর।
শনির সাড়ে সাতি প্রথম আড়াই বছর প্রথম পর্ব। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, এই সময়ে শনি ব্যক্তির মাথায় থাকে। প্রথম পর্যায়ে নির্দিষ্ট রাশির জাতকদের বেশি করে আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়। শনির প্রথম দশাটির প্রভাব দাম্পত্য জীবনেও দেখা যায়। সম্পর্কে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যায় । এই সময়ে জাতকের জীবন আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে।
সাড়ে সাতির দ্বিতীয় পর্যায়টিকে সবচেয়ে বেদনাদায়ক বলে মনে করা হয়। শারীরিকভাবে এর সর্বোচ্চ প্রভাব ব্যক্তিকে বহন করতে হয়। এ সময় মানুষ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। দ্বিতীয় পর্বে শনির সাড়ে সাতির প্রভাব পড়ে মানুষের কর্মক্ষেত্র ও পরিবারের উপরও। তাই সকলকেই সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্বে একজন ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারকেও অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। অনেক সময় একজন ব্যক্তিকে এই সময়ে পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয়। দূরপাল্লার যাত্রাও করতে হয়। এ সময় যেকোনও কাজ করতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। সহজে সাফল্য আসে না।
শনির সাড়ে সাতির তৃতীয় দশা সুখ-শান্তি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে আনে। এ সময় আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়ে যায়। তৃতীয় পর্বেও জাতকদের নানা ধরনের বিতর্কের সম্মুখীন হতে হয়। এর তৃতীয় ও শেষ পর্বে মানুষকে নানা ধরনের সংগ্রামের সম্মুখীন হতে হয়। এ সময় ব্যক্তি শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত থাকেন মানুষ। শনির সাড়ে সাতি থেকে মুক্তি পেতে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সাড়ে সাতির সময় যেকোনও ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এই সময়ের মধ্যে, যেকোনও ধরনের তর্ক-বিতর্ক এড়িয়ে চলতে হবে।শনি ও মঙ্গলবার অ্যালকোহল এবং তামসিক খাবার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন অনেকে।
ডিসক্লেমার : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।