ONGC Oil Production: দেশেই আরও তেল উত্তোলন! বছরে খরচ বাঁচবে ১০০০০ কোটি টাকা?
Crude Oil Export Cost: কৃষ্ণা-গোদাবরী বেসিন থেকে শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে উত্তোলন প্রক্রিয়া। যার জেরে একধাক্কায় বাড়বে উৎপাদন।
কলকাতা: অপরিশোধিত তেল উৎপাদনে (Crude Oil Production) বড়সড় পদক্ষেপ করতে চলেছে রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন তেল সংস্থা ONGC. সূত্রের খবর, দ্রুত গভীর সমুদ্রের (Deep Sea Project) তৈল খনি কৃষ্ণা-গোদাবরী বেসিন (Krishna Godavari Basin) থেকে তেল উৎপাদন শুরু করতে চলেছে ওএনজিসি।
এই উৎপাদন ভারতের জন্য অনেকটাই স্বস্তির হতে চলেছে। ভারত প্রয়োজনীয় অপরিশোধিত তেলের অন্তত ৮৫ শতাংশ এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রায় অর্ধেক আমদানি করে। কৃষ্ণা গোদাবরী বেসিন থেকে তেল উৎপাদন ঠিকমতো শুরু হলে ভারতের বছরে দশ হাজার কোটি টাকারও বেশি আমদানি খরচ (Import Expenditure) বাঁচবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি, ONGC পেট্রো-রাসায়নিক প্রকল্পের জন্য ২০২৮-২০৩০ সালের মধ্যে মূলধনী খাতে ১ লক্ষ কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা নিয়েছে। দুটি আলাদা প্রকল্পে এই টাকা খরচ করা হবে।
কৃষ্ণা-গোদাবরী বেসিন থেকে তেল উত্তোলনের (Oil Production) গোটা প্রক্রিয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের (Ministry of Petroleum and Natural Gas) শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর। দীর্ঘদিন ধরেই এই গভীর সমুদ্রের তৈলখনি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখান থেকে উৎপাদন শুরু হলে তা ONGC-এর জন্য ভাল হবে, কারণ বেশ কিছু সময় ধরেই এই সংস্থা কম উৎপাদনের কারণে সমস্যায় পড়েছে। কাজ শুরু হলে দেশের পূর্ব উপকূলে ওএনজিসির প্রথম গুরুত্বপূর্ণ তৈলখনি হবে KG Basin.
KG-DWN-98/2 ব্লকে অনেকগুলি সঞ্চয় মিলেছে যেগুলি জড়িয়ে এক একটি ক্লাস্টার তৈরি করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই ব্লক। বঙ্গোপসাগরের (Bay of Bengal) উপর এই এলাকায় জলের গভীরতা ৩২০০ মিটারের মতো। এই ব্লকটিকে মোট ৩ টি ক্লাস্টারের ভাগ করা হয়েছে। তার মধ্যে ২ নম্বর ক্লাস্টার থেকে সবার আগে উৎপাদন শুরু হবে।
শুধু অপরিশোধিত তেলই নয়, প্রাকৃতিক গ্যাস (Natural Gas) উৎপানও হবে এখানে। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এই বেসিন থেকে বেশ কিছু পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাসও মিলবে বলে জানানো হয়েছে।
কেজি-ডিডব্লিউএন-৯৮/২ ব্লক থেকে উৎপাদন ভারতের অভ্যন্তরীণ তেল উৎপাদন বৃদ্ধি করবে। যার ফলে আমদানির উপর (Petroluem Production) নির্ভরতা কমবে। যখন পুরোমাত্রায় কার্যকর হবে তখন ক্লাস্টার ২ প্রকল্প থেকে গোটা ভারতের তেল উত্তোলনের (Crude Oil Production) ৭ শতাংশ মিলবে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের মধ্যেই প্রতিদিন অন্তত ৪৫০০০ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এর উপর ভিত্তি করেই ২০২৩ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৫ অর্থবর্ষে ONGC-এর উৎপাদনের পরিমাণ লাফ দিয়ে অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
অধিকাংশ তৈলক্ষেত্র পুরনো হয়ে যাওয়ায় উৎপাদনে ধাক্কা খেয়েছে ONGC, KG basin- থেকে উত্তোলনের কারণে মোট উত্তোলনের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তিতেও খরচ করছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই সংস্থা।
আরও পড়ুন: বিশাখাপত্তনমের জেটিতে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে খাক অন্তত ১৫টি নৌকা