Hindu Monk Arrest Update: 'যে ঘটনা ঘটেছে...', বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করলেন অভিষেক
Bangladesh News: ISKCON-এর সন্ন্যাসীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে উত্তাল বাংলাদেশ। তাঁর মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামে মিছিলের আগেই পুলিশের ধরপাকড় শুরু হয়েছে।
কলকাতা : সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পথে নেমেছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের দফতর অভিযান চলছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল কেন চুপ রয়েছে ? কেন কিছু বলছে না ? এনিয়ে বিজেপির তোলা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার দলের অবস্থান স্পষ্ট করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর সেই বিবৃতি পোস্ট করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
বাংলাদেশের ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন অভিষেক বলেন, "প্রথমত এটা রাজ্যের বিষয় নয়। দেশের বিষয়। আন্তর্জাতিক বিষয়। আন্তর্জাতিক বিষয় হলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয় যেহেতু, মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারকে জনাদেশ দিয়েছে। আমরা আমাদের দলের অবস্থান একাধিকবার স্পষ্ট করেছি। যে কোনও আন্তর্জাতিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যে অবস্থান নেবে, সেটাকে দলগতভাবে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করবে দেশের স্বার্থে। কিন্তু, যে ঘটনা ঘটেছে একেবারে সমর্থনযোগ্য নয়। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয়। আমি এতটুকু বলতে পারি।"
বাংলাদেশের ঘটনা প্রসঙ্গে @AITCofficial এর বক্তব্য জানালেন @abhishekaitc pic.twitter.com/dccwkTbAND
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) November 27, 2024
ISKCON-এর সন্ন্যাসীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে উত্তাল বাংলাদেশ। তাঁর মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামে মিছিলের আগেই পুলিশের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ে সংখ্যালঘুদের প্রতিবাদ মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রামের সরাইপাড়ায় আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের আটক করেছে পুলিশ। চট্টগ্রামে জরুরি অবস্থা চেয়ে আদালতে আবেদন জানান এক আইনজীবী। অ্যাটর্নি জেনারেলকে ডেকে সরকারের অবস্থান জানাতে বলল আদালত। এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামে জামাতের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাণ্ডবের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ সেনার বিরুদ্ধেও সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচারের অভিযোগ।
ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে ভারত সরকার। বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার ও জামিন নাকচ করার বিষয়টিতে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশে চরমপন্থী গোষ্ঠীর দ্বারা হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও লুঠপাটের পাশাপাশি চুরি, ভাঙচুর, মূর্তি ও মন্দির ভাঙচুর করার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে হিন্দু ও সকল সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা করার আর্জি জানাচ্ছি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।