(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
TET Case : 'সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি', মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনে জড়িত শিক্ষা পর্ষদের কর্মচারীই, মনে করছে CBI
Primary TET Scam : শিক্ষা দফতরের কর্মচারীদের অনেকেই দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন বলে মনে করছে সিবিআই। অভিযোগ, কোনও লেখা নয়, শুধু নাম লিখে পরীক্ষায় ফাঁকা উত্তরপত্র জমা দিয়েও মিলত চাকরি।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ( Primary Teacher Recruitment ) দুর্নীতি মামলায় উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস (Upendranath Bisws) বর্ণিত ‘বাগদার রঞ্জন’কে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই রঞ্জনের আসল নাম চন্দন মণ্ডল বলে আদালতে জানিয়েছেন মামলাকারীর আইনজীবী। এই বিষয়ে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে সিবিআই-কে এ নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Primart TET)।
নজরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একাধিক কর্মচারী
প্রাথমিক টেট দুর্নীতি ( Primary TET ) মামলায় এবার সিবিআইয়ের নজরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একাধিক কর্মচারী। সূত্রের খবর, এই শিক্ষা পর্ষদের কর্মচারীদের অনেকেই দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন বলে মনে করছে সিবিআই। কীভাবে নিয়োগ? অভিযোগ, কোনও লেখা নয়, শুধু নাম লিখে পরীক্ষায় ফাঁকা উত্তরপত্র জমা দিয়েও মিলত চাকরি। এর উল্লেখ রয়েছে এফআইআরে। এছাড়াও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বজনপোষণের অভিযোগ রয়েছে। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ফাঁকা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পেয়েছেন অনেকে, অভিযোগ করেছেন মামলাকারীরা। এরকম নানা বেআইনি আর্থিক
এফআইআরে নাম রয়েছে রঞ্জনেরও
বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে সিবিআইয়ের এফআইআরে। এফআইআর হয়েছে ১২০-র বি, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ এবং ৪৭১ নম্বর ধারায়। দুর্নীতিদমন আইনের ৭ এবং ৮ নম্বর ধারাও যোগ করা হয়েছে সিবিআইয়ের এফআইআরে। সূত্রের খবর, প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম রয়েছে রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলেরও।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় কড়া পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের
এর আগে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় কড়া পদক্ষেপ নেয় কলকাতা হাইকোর্ট। SSC’র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশে শিক্ষকের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে!
মন্ত্রী কন্যাকে ৪১ মাসের বেতনবাবদ পাওয়া টাকাও ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই গত সোমবার সিদ্দিক গাজি নামে আরও এক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। ওই ব্যক্তি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মুর্শিদাবাদের সলুয়াডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে গণিতের শিক্ষক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। গত বছর, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন SSC’র চাকরিপ্রার্থী অনুপ গুপ্ত। তিনি অভিযোগে বলেন, মেধা তালিকায় ২০০ নম্বরে থাকলেও, তিনি চাকরি পাননি। কিন্তু, মেধা তালিকায় ২৭৫ নম্বরে থাকা সিদ্দিক গাজি চাকরি পেয়েছেন। এই মামলাতেই সোমবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা চাকরি বাতিল করার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন।