Tapan Kandu Murder Case: তপন কান্দুর হত্যার তদন্তে তাঁর ব্যবসার পার্টনার পিন্টু চন্দকে তলব
CBI probe: কংগ্রেস কাউন্সিলরকে খুনে অভিযুক্ত কলেবর সিংহকে হেফাজতে নেওয়ার পর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে তত্পর হল সিবিআই। খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজে রাতভর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়।
অর্ণব মুখোপাধ্যায়, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, ঝালদা: পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদার (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর (Congress Councillor Tapan Kandu) হত্যার (Murder Case) তদন্তে আজ তাঁর ব্যবসার পার্টনার পিন্টু চন্দকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল সিবিআই (CBI)। সেই সঙ্গে আজ স্থানীয় এক তৃণমূল (TMC) কর্মী বিশ্বনাথ কান্দুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তপন কান্দু খুনের তদন্ত
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পুরভোটের ফল ঘোষণার দিন গন্ডগোল হয় কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। তা নিয়ে ঝালদা থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। সেই ঘটনার বিষয়ে জানতেই বিশ্বনাথ কান্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে তৎপর সিবিআই
এদিকে, কংগ্রেস কাউন্সিলরকে খুনে অভিযুক্ত কলেবর সিংহকে হেফাজতে নেওয়ার পর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে তত্পর হল সিবিআই। খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজে রাতভর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এর আগে ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার হলেও আগ্নেয়াস্ত্রর হদিশ মেলেনি। একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির কুয়ো ও আশপাশে আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজে চলে তল্লাশি।
হাইকোর্টে তপন কান্দুর স্ত্রী
অন্যদিকে, ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনার প্রধান সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। ওই ঘটনায় এবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। আদালত মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে।
তপন কান্দু খুনের ঘটনায় প্রথম দিন থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল নিহতের পরিবার। এবার সিবিআই তদন্তে কার্যত সেই তত্ত্বেই সিলমোহর পড়ল। শনিবারই এসডিপিও, ঝালদা থানার ক্লোজ হওয়া পাঁচজন পুলিশকর্মী এবং ঘটনার দিন টহলদারি ভ্যানের চালককে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, গত ১৩ মার্চ কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের সময় ঝালদা-বাঘমুণ্ডি রোডে নাকা তল্লাশিতে ছিল আরটি ভ্যান। তপন কান্দুকে খুনের সময় ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৪০০ মিটার দূরেই ছিল সেই ভ্যান। টহলদারি দলের নেতৃত্বে ছিলেন এসআই অনিমা অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দু’জন কনস্টেবল ও দু’জন এনভিএফ কর্মী। তপন কান্দু গুলিবিদ্ধ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই খবর পৌঁছয় পুলিশের টহলদারি ভ্যানে। অভিযোগ, খবর পেয়েও এসআই শাসানির সুরে পুলিশকর্মীদের সেখানে যেতে নিষেধ করেন।