Load Shedding Problem: লোড বাড়ানোর আবেদন নেই! লোডশেডিংয়ের সমস্যা নিয়ে দাবি বিদ্যুৎমন্ত্রীর
West Bengal Load shedding Problem: কলকাতা ও জেলায় জেলায় লাগাতার লোডশেডিংয়ের সমস্যা নিয়ে এবার, কার্যত সাধারণ মানুষের উপরেই দায় চাপালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
কলকাতা: রাজ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। সাধারণ মানুষ, লোড বাড়ানোর জন্য আবেদন করছেন না। কলকাতা ও জেলায় জেলায় লাগাতার লোডশেডিংয়ের সমস্যা নিয়ে এবার, কার্যত সাধারণ মানুষের উপরেই দায় চাপালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি আরও দাবি করেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলা এক নম্বরে। বিদ্যুতের অভাব নেই। সেই সঙ্গে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে চাহিদা মতো লোড বাড়ানোর আর্জিও জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী।
তীব্র তাপে পুড়ছে বাংলা। পাখার হাওয়াতেও শুকোতে চাইছে না ঘাম। এসি চালিয়ে, যে একটু জিরোবেন, তারও উপায় নেই। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের মতো,জ্বালাপোড়া গরমের মধ্য়ে কলকাতার লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। ফ্য়ান ছাড়া যেখানে এক সেকেন্ডও থাকা যাচ্ছে না, সেখানে শুরু হয়েছে চরম বিদ্য়ুৎ ভোগান্তি। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয়রা। গত মাসে, CESC-র আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিদ্য়ুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে, CESC-কে বিদ্য়ুৎমন্ত্রীর নির্দেশ দেন,পর্যাপ্ত ট্রান্সফর্মারের ব্যবস্থা করতে হবে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডি জি সেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সর্বত্র সর্বক্ষণ বিদ্যুৎ কর্মীদের প্রস্তুত রাখতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যবাসী ঘাড়েই দোষ চাপালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। সাধারণ মানুষ, লোড বাড়ানোর জন্য আবেদন করছেন না, এমনটাই দাবি তাঁর। পাশাপাশি এরাজ্যের বিদ্যুতের ঘাটতি নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যবাসীর উদ্দেশে চাহিদা মতো লোড বাড়ানোর আর্জিও জানিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। বেলা বাড়তেই রোদের প্রখর তেজ। বাইরে বেরোনোই দায়। এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে থাকাও কার্যত অভিশাপ হয়ে উঠছে। নেপথ্যে লোডশেডিং। জেরবার অবস্থা সাধরণ মানুষের। এর আগেও এই ঘটনার জন্য সাধারণ মানুষের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন বিদ্য়ুৎমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ ছিল, লোড না বাড়িয়ে এসি, ফ্রিজ চালানোর জন্যই খারাপ হচ্ছে ট্রান্সফর্মার।
গত মাসে প্রবল গরমে বিদ্যুৎহীন এলাকা হওয়ায় মেয়রের বাড়ির অদূরে রাস্তায় বসে চলে বিক্ষোভ। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত মাসে ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে ১৭ নম্বর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, CESC-কে জানানোর পরেও, ৫ ঘণ্টা ধরে আলো-পাখাহীন অবস্থায় কাটাতে হয় বাসিন্দাদের। ঘটনাস্থলে চেতলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। পুলিশের আশ্বাসে রাত ৩টে নাগাদ অবরোধ ওঠে। তখনও বিদ্যুৎ আসেনি।
আরও পড়ুন: Travel Destination: গরম থেকে রেহাই পেতে ঘুরে আসুন ঠান্ডা 'ট্যুরিস্ট স্পট' থেকে, রইল ৮ 'অফবিট' সন্ধান