Sovabazar Rajbari : রীতি মেনে রথের দিনই দুর্গা প্রতিমার কাঠামো পুজো শোভাবাজার রাজবাড়িতে
Rathyatra : পরিবারের সদস্য দেবরাজ মিত্র জানান, মা দুর্গার ডান পা খুঁটি হিসেবে এখানে রয়েছে
কলকাতা : শোভাবাজার (Sovabazar) রাজবাড়িতে রথের দিনই দুর্গা প্রতিমার কাঠামো পুজোর রীতি। সেই রীতি মেনে আজও দুর্গা প্রতিমার মূল কাঠামোকে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হল। শোভাবাজার রাজবাড়িতে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সূচনা হল। সেই সঙ্গে পুজো হল জগন্নাথদেবেরও।
পরিবারের সদস্য দেবরাজ মিত্র জানান, মা দুর্গার ডান পা খুঁটি হিসেবে এখানে রয়েছে। পুজো চলছে। রীতি মেনে গৃহদেবতার পুরোহিত রথ টানবেন। রথের দিন কাঁঠাল ফল দেওয়ার বিশেষত্ব রয়েছে। সেটাই এখানে সাজানো হয়েছে। আজ থেকে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। কোভিড-বিধি মেনে এবারও দুর্গাপুজো হবে।
আরও পড়ুন ; পুরীতে মন্দিরের সামনে নৃত্য প্রদর্শন একঝাঁক বাঙালি শিল্পীর
এর পাশাপাশি রাজ্য-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রথযাত্রা আনন্দে সামিল হয়েছেন ভক্তরা। ভিড় জমেছে মাহেশ, মহিষাদলের রথযাত্রায়।
মাহেশের রথ-
এবার ৬২৬ বছরে পড়ল মাহেশের রথযাত্রা। কোভিডের কারণে গত দু’বছর লোক সমাগম হয়নি। এবার বিধিনিষেধ না থাকায় সকাল থেকেই মাহেশে ভক্তদের ভিড়। সকালেই দেওয়া হয় ভোগ। বিকেল চারটের সময় রথের রশিতে টান পড়বে।
পুরীর রথ-
এদিকে পুরীতে রথযাত্রার উত্সব শুরু। শোভাযাত্রা করে বলরাম, সুভদ্রা ও জগন্নাথদেবের বিগ্রহকে আনা হয়েছে মন্দিরের বাইরে। বিগ্রহের রথে আরোহণের পর্ব শেষ। তারপর হবে ছেড়াপহরা। পুরীর রাজা সোনার ঝাঁটা দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করার পর গড়াবে রথের চাকা। ২ বছর কোভিড বিধির পর এবার ভক্ত সমাগমের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মন্দির চত্বরে ঢল নেমেছে ভক্তদের। এই উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পুরীর সঙ্গে বাঙালির যোগাযোগ শতাব্দী প্রাচীন। সমুদ্র আর জগন্নাথ দেবের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্কও অতি প্রাচীন। দেবদর্শন করতে, তীর্থ করতে সারা বছর ধরেই পুরীতে যান বহু বাঙালি ভক্ত। তবে সবচেয়ে বেশি নজর থাকে রথযাত্রার সময়। এই সময় বিপুল ভক্ত সমাগম হয়।