SSC Case: 'বৈঠকে কিছু হয়নি, ওটা একটা ললিপপ', দাবি অনশনকারী চাকরিহারার
Teachers Protest: মুখ্য়মন্ত্রীর আশ্বাসে চিঁড়ে ভেজেনি। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেও আস্বস্ত হতে পারছেন না। তাই হকের চাকরি ফিরে পাওয়ার পথ খুঁজতে পথকেই বেছে নিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা।

ঐশী মুখোপাধ্যায়, পার্থপ্রতিম ঘোষ, সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা : শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের বৈঠকের পরেও অনশন কর্মসূচি অব্যাহত। SSC দফতরের সামনে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৩ জন চাকরিহারা শিক্ষক। দাবি না মেটা পর্যন্ত অনশন চলবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে চিঁড়ে ভেজেনি। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেও আস্বস্ত হতে পারছেন না। তাই হকের চাকরি ফিরে পাওয়ার পথ খুঁজতে পথকেই বেছে নিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা।
SSC-র দফতরের বাইরে চলছে অনশন। যোগ্য-অযোগ্যর তালিকা প্রকাশ করতে কোনও আপত্তি নেই SSCর। শুক্রবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকের পর জানান শিক্ষামন্ত্রী। তারপরেও আশ্বস্ত হতে পারেনননি চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা। চলছে অনশন। চাকরিহারা ও অনশনকারী সুমন বিশ্বাস বলেন, "যোগ্য যাঁরা আছেন, আমরা রায় পুনর্বিবেচনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। সকলে অংশগ্রহণ করুন। এই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা মামলা সুপ্রিম কোর্টে করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।" এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ও এসএসসি-র চেয়ারম্যানের সঙ্গে চাকরিহারাদের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বৈঠকে কিছু হয়নি। ওটা একটা ললিপপ।"
অপর এক চাকরিহারা ও অনশনকারী প্রতাপকুমার সাহা বলেন, "১০ অক্টোবর ২০২২, দীপঙ্কর সাহা নামে গণিতের এত চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন। ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। প্যানেল আসতে পারেননি, এই মর্মে তিনি RTI করেন। ২৯ মার্চ ২০২৩-এ সেই আবেদনের ভিত্তিতে ফলাফল তাঁর হাতে দেওয়া হয়। তার সঙ্গে OMR কপি ছিল। এখন দিতে আপত্তি কোথায় ?"
জীবিকা বাঁচানোর লড়াইতে নেমে, আক্ষরিক অর্থেই এবার জীবন বাজি রেখেছেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা। চাকরিহারা শিক্ষক মেহবুব মণ্ডল বলেন, "আমরা রাস্তায় নামছি। আমরা বাধ্য হয়ে নামছি।"
২৬ হাজার চাকরি বাতিলের দায় কার ? এনিয়ে তুঙ্গে চাপানউতোর। এদিন এনিয়ে প্রথম মুখ খোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সমালোচনা করেন বিরোধীদের। তিনি বলেন, "এই রায়ের(চাকরি বাতিল) মাধ্যমে কোথাও যেন মনে হচ্ছে, ভারতীয় জনতা পার্টির যে বিমাতৃসুলভ আচরণ এবং বাংলার মানুষের প্রতি ধারাবাহিক বিমাতৃসুলভ আচরণ ও মানসিকতার প্রতিফলন আমরা দেখতে পেয়েছি। যদি অযোগ্য কেউ চাকরি পেয়ে থাকে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হোক, তাঁকে শ্রীঘরে পাঠান, তাঁর চাকরি যাক, তাঁকে টাকা ফেরত দেওয়া করান। কিন্তু, কিছু অযোগ্য লোকেদের জন্য আপনি ১৬-১৭ হাজার যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিতে পারেন না। আমি এখানে বিজেপির ধারাবাহিকতা দেখছি যে একজন ভুল করেছে, পুরোটা বাতিল করে দাও।"
পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "দু'বছর ছ'মাস সময় পেয়েছিলেন জমা দেওয়ার জন্য, এতদিন.. প্রশ্ন হচ্ছে জমা দিতে কে বাধা দিয়েছিল? শিক্ষামন্ত্রী শুধু বলছেন ২১ লক্ষ না ২২ লক্ষ চেক করে জমা দেব। তার সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এতদিন দেননি কেন? কার কথায় দেননি?"
হকের চাকরি হারিয়েছেন। দিন-রাত কাটছে রাস্তায়। গতকাল অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন অধ্যাপক ও আমরা আক্রান্তর সদস্য, অম্বিকেশ মহাপাত্র।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
