(Source: Poll of Polls)
Dilip Ghosh: 'নেতাজির নামে রাজনীতি, জন্মজয়ন্তীতে মূর্তি পরিষ্কার করেনি..', মন্তব্য দিলীপের
Dilip Attacks TMC On Netaji: নেতাজি'র জন্মজয়ন্তীতে শাসকদলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন দিলীপ ঘোষ, নিজে হাতে পরিষ্কার করলেন মূর্তি...
বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু'র জন্মজয়ন্তীতে দিলীপের নিশানায় শাসকদল। মঙ্গলবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরের পুরাতনবাজারে অবস্থিত পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।আর তারপরই একযোগে বাম-তৃণমূল-সহ তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন তিনি। বললেন, 'নেতাজির নামে রাজনীতি করছে, জন্মজয়ন্তীতে তাঁর মূর্তি পরিষ্কার করেনি খড়গপুর পৌরসভা।'
'নেতাজির নামে রাজনীতি, জন্মজয়ন্তীতে তাঁর মূর্তিও পরিষ্কার করেনি..'
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'খড়্গপুরের পুরাতন বাজার চকে নেতাজির যে মূর্তিতে আমরা মাল্য দান করলাম। শুনেছি গতকাল এক কমিউনিস্ট বলেছেন বিজেপি নাকি নেতাজিকে বোঝে না। এতদিন তারা রাজত্ব করেছেন। নেতাজির মূর্তি পড়ে আছে। এখানে কেউ ঝাড়ু মারেনি। কেউ পরিষ্কার করেনি। তৃণমূলের পৌরসভা আছে এখানে। আজ ২৩ জানুয়ারি। ওদিকে নেতাদির নামে রাজনীতি করবেন। নেতাজির মূর্তি ঝাড়ু মারা, পরিষ্কার করা, এটা পৌরসভার কাজ। কিন্তু কিছু করেনি। আমরা আসার পর, আমাদের কাউন্সিলর ঝাড়ু মারছে, পোছাপুছি করছে। তাতে আমরা সবাই মিলে হাত লাগালাম। এবং মাল্যদান করে শ্রদ্ধা অর্পণ করলাম।'
'উনি খড়্গপুরে এতদিন পরে এসেছেন, পরিষ্কার করার জন্য'
অপরদিকে, খড়গপুর পৌরসভার চেয়ারপার্সন কল্যাণী ঘোষ বলেন, 'এইভাবে নোংরা রাজনীতি আমরা করি না। ওই পথে নামিনি। উনি খড়্গপুরে এতদিন পরে এসেছেন পরিষ্কার করার জন্য। এবার আর জিততে পারবে না। রাস্তাঘাট পরিষ্কার করবে। সমস্ত কিছু পরিষ্কার করা হচ্ছে। কেউ যদি গায়ের জোরে বলে বলে তো কিছু করার নেই।'
আরও পড়ুন, 'নেতাজির চিন্তার সঙ্গে, আমাদের ভাবনার কোনও পার্থক্য নেই..', বার্তা মোহন ভাগবতের
অপরদিকে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু'র জন্মজয়ন্তীতে কলকাতায় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ( RSS Chief Mohan Bhagwat)। এদিন নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে ( Netaji Subhas Chandra Bose Birth Anniversary) বারাসতে জনসভা করেন তিনি। এদিন তিনি বলেন,'এটা দেখলে সমাধান আসবে। নেতাজি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটা অসম্পূর্ণ রাখতে দেখেননি। উনি জানতেন, এটা একটা প্রজন্মের কাজ নয়। অবিরত করে যেতে হবে। এই কাজের জন্য আমার জীবনও হয়তো যথেষ্ট নয়, কিন্তু কোনও সমস্যা নেই। আমি এমনই প্রেরণা দিয়ে যাব, যে প্রজন্মের পর প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হয়ে এই কাজ করে যাবে। আত্মদর্শন সম্পন্ন, চারিত্রিক গুণে ভরা প্রজন্ম দেশের জন্য জীবন-মৃত্য়ুতে উঠে দাঁড়াবে।'