Sujan-Rahul on SSC Group C : "শিক্ষার সর্বনাশ করছে এই সরকার !", বাগ-কমিটির রিপোর্ট নিয়ে রাজ্যকে তুলোধনা সুজন-রাহুলের
SSC Group c Case Update : SSC-র গ্রুপ C নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্ট
কলকাতা : SSC-র গ্রুপ C নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি ও দুর্নীতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এনিয়ে রাজ্য সরকারকে একাহত সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। "আমাদের রাজ্যে শিক্ষার সর্বনাশ করছে এই সরকার", এমনই মন্তব্য করেন তিনি।
কী বলছে রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্ট ?
SSC-র গ্রুপ C নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্ট। আদালত সূত্রে খবর, সেই রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ৩৮১ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল। ৩৮১ জনের মধ্যে ২২২ জনের নাম কোনও প্যানেল বা ওয়েটিং লিস্টে ছিল না। এঁরা পার্সোনালিটি টেস্টে অংশ গ্রহণ করেননি। কারণ এঁরা কেউ লিখিত পরীক্ষায় পাস করেননি। এই রিপোর্ট সামনে আসার পরই রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন ; "লিখিত পরীক্ষায় পাস না করা ২২২ জনকে SSC-র অফিস থেকেই সুপারিশপত্র", উল্লেখ রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্টে
সুজন চক্রবর্তী বলেন, "এইসব দেখে দেখে রাজ্যের মানুষ ক্লান্ত হয়ে গেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বের এই ১০-১১ বছরে নীতিহীনতা-দুর্নীতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। SSC, PSC- প্রতিটি ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর দুর্নীতির কথা সবাই জানেন। বিচারপতি বাগের কমিটি আজ রিপোর্ট পেশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সুপারিশ করছে এসএসসি, অথচ এসএসসি-রই (SSC) প্যানেলটা মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এ ভাবা যায় ! তার মধ্যে ২২২ জন এমন যাঁদের লিস্টে কোনও নাম নেই। কোথাও কিছু নেই, তাহলে এই ২২২ জন ভূতের মতো এল কোথা থেকে ? শুধু টাকা। কত কোটি টাকা ? প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি। লেখাপড়া করা ছেলেমেয়েগুলো পাস করেছে। তারা চাকরি করবে বলে বাবা-মা স্বপ্ন দেখছেন। তারা কোনও প্রতিবাদ করতে পারবে না। বিক্ষোভ করলে পুলিশ পেটাবে। হাজতে নিয়ে যাবে । কী হচ্ছে এসব ? আর শিক্ষামন্ত্রী যে কমিটি গড়লেন সেটাই বেআইনি। বোঝা গেল, কমিটিটা টাকা জোগাড় করার জন্য করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হবে, আর লেখাপড়া করা ছেলেমেয়েগুলো রোজ আক্রান্ত হবে, মার খাবে- এ কখনো চলতে পারে ? তারা কষ্ট করে রাস্তায় পড়ে থাকবে, আর বিকাশ ভবনে সবাই শান্তিতে থাকবে ? কারা কারা ছিলেন ? তাঁদের বেআইনি সম্পত্তি কত হয়েছে ? তার ভাগ কে কে পেয়েছেন ? এগুলো টেনে বের করতে হবে। আমাদের রাজ্যে শিক্ষার সর্বনাশ করছে এই সরকার এবং তাদের ব্যবস্থা এটা আরও একবার স্পষ্ট। বাগ কমিটির রিপোর্টের পর শিক্ষামন্ত্রীর যদি ন্যূনতম বোধ থাকে পদত্যাগ করুন।"
এনিয়ে রাহুল সিনহা বলেন, স্ক্রিনিং কমিটির নাম করে একটা বিরাট দুর্নীতির চক্র ওখানে বসেছিল। পরীক্ষা না দিয়েই ২২২ জনের চাকরি হয়ে গেছে, এত বড় দুর্নীতির খবর এর আগে প্রকাশ্যে আসেনি। এই দুর্নীতির মূলচ্ছেদ করা দরকার। এই তদন্ত আরও জোরদার করা দরকার। উঁচুস্তরের যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত, তাঁধের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা আদালত করুন। এটাই রাজ্যের শান্তকামী মানুষের প্রার্থনা।