'পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে', বাড়তি ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশে মন্তব্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির
কলকাতা হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৪-র সমস্ত টেট পরীক্ষার্থীকে বাড়তি ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সমস্ত পরীক্ষার্থীকে ৬ নম্বর দিলে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় প্রভাব পড়বে।
!['পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে', বাড়তি ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশে মন্তব্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির 'The entire recruitment process will be affected', said the Chief Justice of the High Court on the order to give additional 6 marks 'পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে', বাড়তি ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশে মন্তব্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/04/12/557022c404ce174453e89a539f96a817_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৪-র সমস্ত টেট পরীক্ষার্থীকে বাড়তি ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সমস্ত পরীক্ষার্থীকে ৬ নম্বর দিলে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় প্রভাব পড়বে। ২০১৪-র টেটের প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগে মামলায় সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সিবিআইয়ের কাছ থেকে রিপোর্টও তলব করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
কলকাতা হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৪-র সমস্ত টেট পরীক্ষার্থীকে বাড়তি ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সমস্ত পরীক্ষার্থীকে ৬ নম্বর দিলে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় প্রভাব পড়বে। ২০১৪-র প্রাথমিক টেট মামলায়, সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।
এদিন, সিবিআই এর কাছ থেকে রিপোর্টও তলব করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৪-র টেটের প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। ১৩ এপ্রিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ৬টি ভুল প্রশ্নের জন্য প্রত্যেক পরীক্ষার্থী বাড়তি নম্বর দিতেই হবে।
সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায় ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোন অংশ নিয়ে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে? ২৬৯ জনের বেআইনি নিয়োগ নিয়ে সিবিআই তদন্ত না কি পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই তদন্ত চলছে? ২০১৬ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৪২ হাজারের বেশি নিয়োগ হয়।
এদিন, সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন,হাইকোর্টের এক ডিভিশন বেঞ্চ টেট ২০১৪ সব পরীক্ষার্থী কে ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সমস্ত পরীক্ষার্থী কে ৬ নম্বর দিলে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় প্রভাব পড়বে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের TET’এর ফলপ্রকাশ হয় ২০১৫ সালে। এরপর, ২০১৪ সালের TET’এ ৬টি প্রশ্ন ভুল থাকা নিয়ে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে কমিটি গঠন করে আদালত। কমিটিও তাদের রিপোর্টে ৬টি প্রশ্ন ভুল থাকার কথা জানায়।
এর পর, শুধুমাত্র মামলাকারীদের ওই ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী।
তাদের বক্তব্য ছিল, শুধুমাত্র মামলাকারীরা কেন ভুল প্রশ্নের নম্বর পাবেন? কিন্তু, এরপর বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে ধোপে টেকেনি মামলাকারীদের বক্তব্য।
মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।
এরপর ২০১৯-এর পয়লা এপ্রিল মামলা কলকাতা হাইকোর্টেই ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলায় এবার সবাই বাড়তি নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশ্ন তুলল প্রধানবিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।১৫ মে-র মধ্য়ে রিপোর্ট তলব করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিকে, আজ অন্য়ে একটি মামলার শুনানির ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তভার এক বাঙালি সিবিআই অফিসারকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার আদালতে, সিবিআই অফিসার ধরমবীর সিং-এর ভলান্টিয়ারি রিটায়ারমেন্ট গ্রহণ করার আবেদন জানায় সিবিআই। বলা হয়, তার জায়গায় কল্যাণ ভট্টাচার্য এই তদন্ত করবেন। তিনি বাংলায় পারদর্শী, ফলে তদন্ত করতে সুবিধা হবে, বলে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়। সব পক্ষ শোনার পর বিচারপতি অমৃতা সিন্হা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কল্যাণ ভট্টাচার্যকে ধরমবীরের সিং-এর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)