WB Municipal Election 2022: কাঁথিতে ভোট লুঠের অভিযোগ, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
WB Municipal Election 2022 রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট লুটের অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের (east midnapore) কাঁথিতে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডেও ভোট লুঠের চেষ্টার অভিযোগ উঠল।
কাঁথি: পুরভোটে(WB Municipal Elections) এলাকায় এলাকায় একের পর এক অশান্তির চিত্র। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট লুটের অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের (east midnapore) কাঁথিতে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডেও ভোট লুঠের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। স্থানীয়দের অভিযোগ এলাকায় সকাল থেকে বাইক বাহিনী ঘুরে বেরিয়ে ভোট লুঠের চেষ্টা করা হচ্ছে। শাসক দলের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। গ্রামবাসীরা ৩টে বাইকে ভাঙচুরও করেছে। সূত্রের খবর, পুলিশ ঘটনায় নিষ্ক্রিয় থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গ্রামবাসীরা। তাঁরা পুলিশকে ঘিরে পরবর্তীতে বিক্ষোভ দেখায়।
এদিন সকালে, পূর্ব মেদিনীপুরে কাঁথিতে (Contai Municipality) , পুরভোটের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে, রক্তাক্ত হলেন এবিপি আনন্দর সাংবাদিক এবং চিত্র সাংবাদিক। লাথি এবং ঘুঁষি মেরে, চিত্র সাংবাদিক ভগবান শাহের মুখ এবং চোখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়। সাংবাদিক প্রকাশ সিন্হাকেও মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। ক্যামেরা এবং বুম কেড়ে নিয়ে, ভেঙে দেওয়া হয়। এই ঘটনা ঘটেছে কাঁথি পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের রহমানিয়া মাদ্রাসায়। আজ সকাল পৌনে ন’টা নাগাদ ভোটের খবর করতে এই বুথে পৌঁছোন এবিপি আনন্দর সাংবাদিক প্রকাশ সিন্হা এবং চিত্র সাংবাদিক ভগবান শাহ। বুথের বাইরের মাঠে একশো থেকে দেড়শো জন জমায়েত করে দাঁড়িয়ে ছিল। এবিপি আনন্দর সাংবাদিক এবং চিত্র সাংবাদিক গাড়ি থেকে নেমে, তাঁদের বক্তব্য নিতে যেতেই, তাঁরা তেড়ে আসে। কোনও কথা বলার আগেই শুরু হয় বেধড়ক মারধর।
প্রথমেই চিত্র সাংবাদিক ভগবান শাহের ক্যামেরা কেড়ে, ভেঙে দেওয়া হয়। ঘুঁষি এবং লাথি মেরে চিত্র সাংবাদিকের মুখ-চোখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়। সাংবাদিক প্রকাশ সিন্হা এগিয়ে যেতেই, তাঁকেও বেধড়ক মারধর শুরু হয়। তিনি সেখান থেকে বেরনোর চেষ্টা করলে, পিছন থেকে ধাওয়া করে, ধরে, মাটিতে ফেলে ফের শুরু হয় লাথি এবং ঘুঁষি মারা। প্রকাশ সিন্হার হাত থেকে চ্যানেলের বুম কেড়ে নিয়ে, ভেঙে দেওয়া হয়। সাংবাদিকের পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়া হয়। প্রায় ছ-সাত মিনিট ধরে এই তাণ্ডব চলে। শেষে তিনি যন্ত্রণায় চিৎকার করতে শুরু করলে, একজন এসে হামলাকারীদের সেখান থেকে সরায়। এবিপি আনন্দর গাড়িও ভাঙচুরের চেষ্টা হয়। গাড়িচালক কোনওমতে গাড়ি চালিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।