WB Board Exam Update:করোনা আবহে জনমতের রায় পরীক্ষার বিরুদ্ধেই, খবর সূত্রের
মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের ভবিষ্যত কী? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।

কলকাতা :করোনা আবহে বিশেষজ্ঞ কমিটি মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক বাতিলের পরামর্শ দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এরপরেও জোড়া পরীক্ষা নিয়ে অভিভাবক, পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষের মতামত চেয়েছিল সরকার। সোমবার দুপুর ২টোর মধ্যে ইমেল মারফত মতামত জানাতে বলা হয়েছিল। জনমতের এই রায় পরীক্ষার বিরুদ্ধেই বলে খবর সূত্রের। ই-মেলে জমা পড়ল প্রায় ২৫ হাজার মতামত।অধিকাংশই স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষে, খবর সূত্রের। যাঁরা পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন, তাঁরা সময় কমিয়ে, বাড়িতে বা স্কুলে গিয়ে একদিনে পরীক্ষার কথা বলেছেন। তবে সেই সংখ্যা কম।
মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের ভবিষ্যত কী? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সন্তানদের ভবিষ্যত্ আমাদের কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনা আবহে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়া উচিত কি না, তা নিয়ে আমজনতার মতামত চেয়েছিল সরকার। রবিবার দুপুরে স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব মনীশ জৈন একটি নোটিস জারি করেছিলেন। নোটিসে বলা হয়েছিল,মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যানিক পরীক্ষার বিষয়ে মতামত জানতে চাইছে সরকার। পড়ুয়া, অভিভাবক এমনকি সাধারণ মানুষও মতামত জানাতে পারবেন। সোমবার দুপুর ২টোর মধ্যে ইমেল মারফত জানাতে হবে মতামত।
এই প্রসঙ্গে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন,সন্তানদের ভবিষ্যত্ আমাদের কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ২০২১ সালের দশম ও দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই আমরা বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছি।পাশাপাশি, অভিভাবক, সাধারণ মানুষ, বিশেষজ্ঞ, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ছাত্রছাত্রীদের কাছেও মতামত জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
মতামত জানানোর ইমেল আইডি গুলি ছিল- pbssm.spo@gmail.com,commissionerschooleducation@gmail.com,
wbssed@gmail.com ।
মূলত তিনটি বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছিল।
-মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়া উচিত, কি উচিত নয়?
-যদি পরীক্ষা নেওয়া উচিত হয়, তাহলে কীভাবে?
-যদি পরীক্ষা নেওয়া উচিত না হয়, তাহলে মূল্যায়ন কীভাবে হবে?
ইতিমধ্যেই ৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির কাঁধে জোড়া পরীক্ষার বিষয়ে পুনর্বিবেচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, করোনা আবহে একুশ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয় বলে, তা বাতিলের পক্ষে সায় দিয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, কারণ হিসেবে কমিটির তরফে বলা হয়, আসতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ।তাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে শিশুদের।যে বয়সের ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে তাঁদের বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছর। যাঁদের কারও ভ্যাকসিনেশন হয়নি।তবে সরকারের এই উদ্যোগের সমালোচনা করেছে বেঙ্গল টিচার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন। তাদের অভিযোগ, উপেক্ষা করা হচ্ছে শিক্ষক সমাজের মতামতকেই।
ইতিমধ্যেই সিবিএসই দ্বাদশ এবং আইএসসি-র পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। এবার ২১ লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যতের কথা ভেবে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গণভোটের ধাঁছে আমজনতার মন বুঝতে চেয়েছিল সরকার।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
