Rabies Virus : জলাতঙ্কে আক্রান্ত শ'য়ে শ'য়ে মানুষ,যাচ্ছে প্রাণ ! কনটেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা
Rabies Outbreak - এই এলাকায় পা না রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছ বাইরের লোকেদের। ইতিমধ্যে রোগে মারাও গিয়েছেন একাধিক। ফলে ত্রাস হয়ে উঠেছে সারমেয়কূল।

কলকাতা : ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে জলাতঙ্ক রোগ। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এলাকায়। জানুয়ারি থেকে ক্রমেই ভয়ঙ্কর হচ্ছে সংক্রমণ। ঝড়ের গতিতে আক্রান্ত হচ্ছেন একের পর এক। জলাতঙ্ক যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে, সে ধারণা কম বেশি সকলেরই আছে। এবার কুকুরের কামড়ে এই রোগের সংক্রমণ এতটাই বেড়েছে একটা বড় এলাকাকে কনটেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই এলাকায় পা না রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছ বাইরের লোকেদের। ইতিমধ্যে রোগে মারাও গিয়েছেন একাধিক। ফলে ত্রাস হয়ে উঠেছে সারমেয়কূল।
জলাতঙ্ককে হাইড্রোফোবিয়া বলা হয়ে থাকে। কারণ আক্রান্ত রোগী জল দেখে, এমনকী জলের কথা মনে পড়লেও প্রচণ্ড আতঙ্কিত হয়ে পড়ে । জলাতঙ্ক বা রেবিজ (rabies) একটি মারাত্মক ও প্রাণঘাতী রোগ৷ কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসায় এই রোগ সম্পূর্ণ রূপে প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। এমনই প্রাণঘাতী রোগে এখন বিপর্যস্ত মণিপুরের চুরাচাঁদপুর। এই এলাকায় জলাতঙ্ক রোগের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এতটাই ছড়িয়েছে এই রোগ যে প্রশাসন এলাকায় নানারকম স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ আরোপ করেছে । এলাকাটিকে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে।
গত সপ্তাহ থেকে জলাতঙ্ক রোগের ঘটনা সামনে আসতে শুরু করে। চুরাচাঁদপুর জেলার নিউ জোভেং গ্রামকে একটি নিয়ন্ত্রণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৭৪৯ জনকে কুকুর কামড়েছে। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, জলাতঙ্ক রোগে ৩ জন মারাও গিয়েছেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ধরুন কুমার ওই গ্রামে গৃহপালিত পোষা কুকুরের প্রবেশ ও বের হওয়ার ওপর কঠোরভাবে নিষিধাজ্ঞা জারি করেছেন। গ্রামের সমস্ত পোষা এবং রাস্তার কুকুরদের টিকা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে প্রশাসনের তরফে চলছে ঘরে ঘরে নজরদারিও স্বাস্থ্য পরীক্ষা । সংক্রমণ রোধের জন্য আপাতত গৃহপালিত কুকুর বিক্রি এবং তাদের নিয়ে এদিক-ওদিক যাতায়াত করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রশাসনিক নির্দেশ লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।গ্রামটিতে পৌঁছেছে পশুচিকিৎসা বিভাগের এক্সপার্ট টিম। ধরে ধরে কুকুরদের টিকাকরণ চলছে। তবে যত সংখ্যক আক্রান্ত বা যত কুকুরকে টিকা দেওয়া দরকার, তত টিকাই হাতে নেই , মনে করছে জেলা পশুচিকিৎসা দফতরের একাংশ।
চিকিৎসা শাস্ত্র বলছে, জলাতঙ্ক হল ব়্যাবিস ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি ভাইরাল সংক্রমণ। এই রোগ প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। ভাইরাসটি সাধারণত একটি সংক্রমিত প্রাণীর লালার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত কুকুরেরকামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমে জলাতঙ্ক ছড়ায়। জলাতঙ্ক দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে এমন কোনও প্রাণী কামড়ালে বা আঁচড় দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। নইলে প্রাণহানিও হতে পারে।
জলাতঙ্কের প্রাথমিক লক্ষণগুলি জ্বরের মতোই। এর সঙ্গে মাথা ব্যাথা, বমি বমি ভাব, হাইপার অ্যাক্টিভিটি, তরল গিলতে অসুবিধা, অতিরিক্ত লালা ক্ষরণ, গিলতে অসুবিধা, অনিদ্রা বা ঘুমের সমস্যা, আংশিক পক্ষাঘাত হতে পারে। জলাতঙ্কের সব থেকে বড় সমস্যাই হল জলকে ভয় পাওয়া।
প্রতি বছর, জলাতঙ্ক বিশ্বব্যাপী ৬০,০০০ এরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে। সব থেকে ভয়ের বিষয়, এর মধ্যে প্রায় ৩৬ শতাংশ মৃত্যু শুধুমাত্র ভারতেই হয়। এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে ইউএনডিপি-র তরফে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
