Lok Sabha Elections 2024: হরিনাম সংকীর্তনেও রাজনীতির রং! ব্যারাকপুরে আবারও অর্জুন-পার্থর দ্বৈরথ
Barrackpore Constituency: আমডাঙার কামদেবপুর হাটে মিলন বীথি ক্লাবের অষ্টম প্রহর অনুষ্ঠান চলছিল।
![Lok Sabha Elections 2024: হরিনাম সংকীর্তনেও রাজনীতির রং! ব্যারাকপুরে আবারও অর্জুন-পার্থর দ্বৈরথ Arjun Singh Partha Bhowmick attend same Religious Function both claiming credits for it Lok Sabha Elections 2024: হরিনাম সংকীর্তনেও রাজনীতির রং! ব্যারাকপুরে আবারও অর্জুন-পার্থর দ্বৈরথ](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/03/31/e0676f65ea38a8a6acb9a025f69bcdfc1711886425729338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সমীরণ পাল, ব্যারাকপুর: নির্বাচনী জনসংযোগের মাধ্যম হয়ে উঠল কীর্তনের আসর। লোকসভা নির্বাচনের আগে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি (Barrackpore Constituency)। সেই আবহে এবার ব্যারাকপুরের কীর্তনের আসরই জনসংযোগের হাতিয়ার হয়ে উঠল বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহ এবং তৃণমূলের প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের। শুধু তাই নয়, কীর্তন চালুর কৃতিত্বও দাবি করলেন দু'জনই। (Lok Sabha Elections 2024)
আমডাঙার কামদেবপুর হাটে মিলন বীথি ক্লাবের অষ্টম প্রহর অনুষ্ঠান চলছিল। শনিবার রাত ৮টা নাগাদ হঠাৎই সেখানে পৌঁছন অর্জুন। নিজে হাতে করে খিচুড়ি ভোগ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করেন অর্জুন দাবি করেন, ঠাকুরের ইচ্ছা ছিল তাই এসেছেন। কামদেবপুর হাটের ওই মাঠ নিয়ে এলাকার ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় ক্লাবের মধ্যে যে দীর্ঘ মতভেদ ছিল, তা তিনিই মিটিয়েছেন বলে জানান অর্জুন।
এর পর রাত ১১টা নাগাদ ওই কীর্তনসভায় এসে পৌঁছন পার্থ। তিনিও নিজের হাতে করে ভক্তদেরকে ভোগ খাওয়ান। পার্থ সেখানে জানান, কোনও রাজনৈতিক স্বার্থ নিয়ে সেখানে উপস্থিত হননি তিনি। এই অষ্টম প্রহর অনুষ্ঠান বাংলার সংস্কৃতির একটি বড় অধ্যায়। এই মিলন বীথি মাঠ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি বিতর্ক ছিল। ঠাকুরের আশীর্বাদে সেটির সমাধান করতে পেরেছেন, তাই ভক্তদের ভোগ খাওয়াতে চলে আসেন অনুষ্ঠানে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'মহুয়ার বৃদ্ধ বাবা-মাকেও ছাড়েনি...' কৃষ্ণনগরে তোপ মমতার
দু'জনের এই দাবি ঘিরেই তরজা শুরু হয়েছে। অর্জুনের দাবি, মিলন বীথি সংগঠনের খেলার মাঠ নিয়ে হাট কর্তৃপক্ষ ও ক্লাবের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছিল। নিজে দায়িত্ব নিয়ে তিনি ক্লাব কর্তৃপক্ষকে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এর পর একাধিকবার হাট এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করেন। নিজের তহবিল থেকে মোটা অঙ্কের অনুদান দিয়ে মিলন বীথি মাঠে ক্লাবের হাতে অষ্টম প্রহর অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বও তুলে দেন।
তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন স্থানীয়দের কেউ কেউ। হরিনামের গায়ে রাজনীতির রং কেন লাগছে, সেই নিয়ে আপত্তি তোলেন তাঁরা। তবে নির্বাচনী মরশুমে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে রাজনীতিকদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। এর আগে, বালুরঘাট ব্লকের নাড়ইয়ে নাম সংকীর্তনে যোগ দেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রচারে গিয়ে সম্প্রতি খোল বাজিয়ে নাম সংকীর্তন করেন রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীও।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)