Assembly Election 2022: "কোন পণ্ডিত জানাল ১৫ জানুয়ারির পর ভারতের অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যাবে ?" ৫ রাজ্যে ভোট নিয়ে তোপ চিকিৎসকের
EC's declaration of election in 5 states : কমিশনের তরফে জানানো হয়, ভার্চুয়ালি প্রচার করুন। আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও সমাবেশ বা রোড শো করা যাবে না।
কলকাতা : ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেল। ১০ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফার ভোট দিয়ে শুরু হচ্ছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। এদিকে কোভিড-আবহে কমিশনের ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এনিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন চিকিৎসকদের একাংশ।
আজ সাংবাদিক বৈঠক করে গোয়া (Goa) , পাঞ্জাব (Punjab) , মণিপুর, উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের ভোট দিনক্ষণ ঘোষণা করে কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়, ভার্চুয়ালি প্রচার করুন। আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও সমাবেশ বা রোড শো করা যাবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই আদেশ পরে পর্যালোচনা করে দেখা হবে। তাছাড়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র বলেন, যথাসময়ে নির্বাচন করানো হল "গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বজায় রাখার সারমর্ম"।
আরও পড়ুন ; উত্তরপ্রদেশ-সহ ৫ রাজ্যে ৭ দফায় বিধানসভা নির্বাচন, দেখুন নির্ঘণ্ট
কমিশনের সার্বিক এই ব্যাখ্য়া নিয়ে চিকিৎসক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলে দেন। বলেন, "নির্বাচন কমিশন ক'জন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞর সঙ্গে কথা বলেছে ? ক'জন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ? আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আমার খুব অবাক লাগছে যে, ওঁরা বললেন ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও রকম ফিজিক্যালি সভা-সমাবেশ হবে না। কোন পণ্ডিত ওদের জানাল যে ১৫ জানুয়ারির পর ভারতের অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যাবে ? যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নিই যে আবার বিষয়টা বিবেচনা করা হবে, তার মানে আমি ধরেই নিচ্ছি ১৫ জানুয়ারি একটা কাট-অফ ডেট রাখছি। আমরা অপশনটা খুলে রাখছি যে, এই অবস্থায় আমরা ফিজিক্যালি সভা-সমাবেশ করব। এটা ভাবা যায় !"
কোভিড-কালে এই নির্ঘণ্ট প্রসঙ্গে চিকিৎসক কাজলকৃষ্ণ বণিক (Dr Kajal Krishna Banik) বলেন, "আমি বুঝি না এত তাড়াহুড়ো কীসের। নির্বাচন সাংবিধানিক রীতি ঠিক আছে । কিন্তু তা মানুষের প্রাণের বিনিময়ে নয়। মানুষ মেরে নির্বাচন কখনই নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের মতো বিশাল জনবহুল দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা সর্বোচ্চ হবে। আমার মনে হয়, নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণা মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। মানুষ না বাঁচলে কে ভোট দেবেন ? "