উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, ডায়মন্ড হারবার : ২০১৪ ও ২০১৯। বিগত দুই লোকসভা নির্বাচনেই ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র (Diamond Harbour Lok Sabha Constituency) থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা এলাকা- ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, সাতগাছিয়া, বিষ্ণুপুর (এসসি), মহেশতলা, বজবজ ও মেটিয়াবুরুজে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। এবার লোকসভা নির্বাচনে হাইভোল্টেজ এই কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই জিততে পারেন বলে C Voter সমীক্ষায় উঠে এসেছে। কাজেই বিরোধীদের কাছে এই আসনের পরিস্থিতি যে প্রতিকূল, একথা বলাইবাহুল্য। 


এরকম একটা কেন্দ্রে যে কোনও বিরোধী প্রার্থীর কাছেই লড়াই কঠিন। কিন্তু, আত্মবিশ্বাসী বামফ্রন্ট মনোনীত ও কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী প্রতীক উর রহমান (Pratikur Rahaman)। তাঁর লড়াইয়ের 'মন্ত্র' নেলসন ম্যান্ডেলার উক্তি। এমনকী জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের কথা বলতে গিয়ে তিনি টেনে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময় যাদবপুর কেন্দ্রে জয়ের প্রসঙ্গও। 'রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছু হয় না' বলে তাঁর সোজাসাপ্টা মত। কাজেই, 'বিনা লড়াইয়ে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী' যে তাঁর পাথেয় তা কার্যত বুঝিয়ে দিলেন একান্ত সাক্ষাৎকারে।


প্রশ্ন : একসময় ছাত্র আন্দোলন করতেন, এখনও করেন। যাঁরা রাজনীতি করেন, পড়াশোনাও করেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই পড়াশোনায় ফাঁকিবাজি করেন। কিন্তু, অনেকেই বলেন মেধাবী ছাত্ররা ভবিষ্যৎটা বুঝতে পারেন, কেমন রেজাল্ট তিনি করবেন ! আপনিও তো বুঝতে পারছেন কেমন রেজাল্ট এখানে হবে ?


প্রতীক উর রহমান : (তৎক্ষণাৎ জবাব) একদম । বুঝতে পারছি। বুঝতে পারছি বলেই তো হেঁটে গিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করছি। এই বোঝাটা স্পষ্ট হয়েছে, গত পঞ্চায়েত ও পৌরসভা নির্বাচনের পরে। যেভাবে আমাদের কর্মীদের আক্রমণ করেছে, মারধর করেছে, ভোট না দিতে দিয়েছে তাতে আরও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। তার মানে, আমাদের শক্তি কোথাও গিয়ে বাড়ছে। আমাদের ওরা ভয় পাচ্ছে। সেজন্য তো আরও বেশি আত্মবিশ্বাস পাওয়া গেছে। ভয় যখন পাচ্ছে তখন ভয় দেখাতে দোষ কী ?


প্রশ্ন : আপনি যদি ডায়মন্ড হারবার জেতেন, তাহলে তো পশ্চিমবঙ্গের ৩৮টি আসনে বাম-কংগ্রেস জিতবে ?


প্রতীক উর রহমান : যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাদবপুরে দাঁড়িয়েছিলেন তখন অনেক লোকে বলেছিলেন, যদি উনি জেতেন তাহলে আকাশ-পাতাল উল্টে যাবে। জিতেছিলেন তো। ফলে, রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছু হয় না। ওয়াক্ত আনে দে বাতা দেঙ্গে তুঝে আসমান হাম আভি সে কিয়া বাতায়ে ক্যায়া হামারে দিল মে হ্যায়... সময় এলে বোঝা যাবে। মানুষ যদি অবাধ নির্বাচনে অংশগ্রণ করতে পারে, মানুষ যদি ভোট দিতে পারে...বাক্স খুললে কিন্তু গল্প আছে। চিচিং ফাঁকের গল্প আছে। আমি বলছি না, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ বলছে।


প্রশ্ন: কী কারণে বলছে ?


প্রতীক উর রহমান : গত ১০ বছর ধরে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। না ভোট দেওয়ার অধিকার আছে, না কথা বলার অধিকার আছে। সেটা তো গেল একটা প্রশ্ন। এই গরমের মধ্যে...স্বাধীনতার এত বছর পরেও ডায়মন্ড হারবারের মানুষ পানীয় জল পান না ! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, আমি জলের বন্দোবস্ত করেছি। এই চত্বরে খোঁজ নিয়ে দেখুন, কোথাও দুর্গন্ধযুক্ত জল, কোথাও নোনা জল, কোথাও খাওয়ার অযোগ্য পানীয় জল আসছে। কেন ? কারণ, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের জলের কোম্পানি আছে, তাই এই পানীয় জলের ব্যবস্থাটাকে নামিয়ে দিতে হবে। যাতে ওঁর জল কোম্পানির জল বিক্রি হয়। আমি বলছি না। মানুষ বলছে। ড্রেনের সমস্যা। এই ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের একটার পর একটা কলকারখানা উঠে গেল। আমরা ছাত্র রাজনীতি করেছি, আমাদের স্লোগান ছিল, সবার জন্য শিক্ষা চাই, শিক্ষা শেষে কাজ চাই। এই লোকসভা কেন্দ্রের শতাধিক সরকারি স্কুল বন্ধ হওয়ার মুখে। অসংখ্য কলকারাখানা বন্ধ হওয়ার মুখে। ফলে, এখানে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে পার্থক্য নেই। সেখানেও যা স্লোগান তুলতাম এখানেও সেই স্লোগান তুলছি, সবার জন্য শিক্ষা চাই। শিক্ষান্তে কাজ চাই। 


প্রশ্ন: ২০১১ সালের পর থেকে ডায়মন্ড হারবারের বুকে আপনারা কোথাও কোনো আসন পাননি। পঞ্চায়েতে পাননি (বোধহয়, সবমিলিয়ে ২-৩টি আসনে জিতেছিলেন)। পৌরসভা নির্বাচনে খাতা খোলেনি। বিধানসভা নির্বাচনে এখানে যে সাতটি কেন্দ্র রয়েছে কোথাও আপনারা নেই। লোকসভা কেন্দ্র তো বটেই। যেখানে পুরো শূন্য, সেখানে আপনি দাবি করছেন ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাবেন ?


প্রতীক উর রহমান : তৃণমূল যখন ভোটে দাঁড়িয়েছিল, তখন একজন মাত্র সাংসদ পেয়েছিল। রাজনীতিতে অবিশ্বাস বলে কিছু হয় না। আজ শূন্য পেয়েছি। আমরা বিধানসভায় শূন্য পেয়েছি। তারপরেও পঞ্চায়েতে সবথেকে বেশি আক্রান্ত আমরা হয়েছি। কেন ? যদি শূন্য পায় একটা দল তাহলে এত ভয় কেন ? পঞ্চায়েত নির্বাচনে আক্রমণ করবে কেন ? আপনি প্রতিটি থানায় যান। এফআইআরের কপিগুলো দেখবেন। আমাদের বামপন্থী নেতা-কর্মীদের নামে এখন থেকে বাড়ি পোড়া কেস, খুনের চেষ্টার কেস, আর্মসের কেস, বোমা মারার কেস..কেন ? শূন্য পাওয়া একটা দলকে এত ভয় কেন ? আসলে শূন্য পাওয়া দলকে ভয় পায় না। আসলে দলের আদর্শকে ভয় পায়। ওরা মানুষের রায়কে ভয় পায়। মানুষকে কথা বলতে দিচ্ছে না। আমরা বলছি, মানুষ যদি অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পায় গল্প আছে কিন্তু, খেলা অন্য আছে। 


প্রশ্ন : ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে ঘুরলে দেখবেন, প্রতীক উর রহমান কোনো একটা দেওয়ালের কেন্দ্রে নাম লেখা আছে। কিন্তু গোটা ডায়মন্ড হারবারে হোর্ডিং, প্ল্যাকার্ড এবং দেওয়াল লিখনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। 


প্রতীক উর রহমান : আমার প্রিয় গায়ক মান্না দে। যদি কাগজে লেখো নাম কাগজ ছিঁড়ে যাবে, পাথরে লেখো নাম পাথর ক্ষয়ে যাবে, হৃদয়ে লেখো নাম সে নাম রয়ে যাবে। আপনি লোকজনকে জিজ্ঞাসা করুন না। পেয়ে যাবেন উত্তর। দেওয়ালে আছে কি না আছে কি এসে যাবে। দেওয়াল আজ আছে কাল নেই। আর গায়ের জোরে সংগঠন আছে বলে দেওয়াল দখল করে নেওয়া...। চলুন না আমার সঙ্গে...জেরক্সের দোকানে এখন, বিজ্ঞাপন মারিবেন না ...লেখা বিক্রি হচ্ছে। জিজ্ঞাসা করলাম কেন ? বলছে, তৃণমূল এসে বলে গেছে এই দেওয়ালটা চুন করা, লিখতে পারিনি। বিজ্ঞাপন মারিবেন না লিখে রাখতে বলেছে। তাই, দেওয়াল দেওয়া যাবে না। দেওয়াল দিয়ে কিছু হয় না। এনএইচের ধারে পিডব্লুডির জায়গা। বড় বড় করে হোর্ডিং লাগানো রয়েছে। পিসি-ভাইপোর ছবি। পিসি-ভাইপো এখন আম গাছ, জাম গাছে ঝুলছেন, কাঁঠাল গাছে ঝুলছেন। আর আমাদের ঝান্ডা কোথাও লাগালে খুলে ফেলে দিচ্ছে কেন ? আমরা শূন্য পাওয়া দল। এত ভয় কেন আমাদের ? দেওয়ালের কোনো ছোট্ট কোণে হয়ত প্রতীক উর রহমানকে দেখা যাবে। এত ভয় কেন লাল ঝান্ডাকে ? গাছের কোথাও হয়ত একটা লাল ঝান্ডা ঝুলছে। টেনে ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। কেন ?


প্রশ্ন : বহুদিন শুনেছিলাম, আপনারা এবং আইএসএফ এখানে একসঙ্গে লড়াই করবেন। সঙ্গে কংগ্রেস থাকবে। আইএসএফের প্রার্থী হবেন নৌশাদ সিদ্দিকি । তিনি নিজে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি শেষ পর্যন্ত নিজে দাঁড়ালেন না। যদিও তারা শেষ পর্যন্ত একজন প্রার্থী দিয়েছে। আইএসএফকে সঙ্গে না রাখা সমস্যা হবে ?


প্রতীক উর রহমান : সমস্যা হবে না। আমরা নৌশান ভাইকে চেয়েছিলাম তার মূল কারণ হচ্ছে, ভোট ভাগাভাগি না হোক। নৌশাদ লড়াই করেছেন। পরিচিত মুখ। যেহেতু উনি নিজে বলেছেন। আমরা সাপোর্ট দেব। এখন নৌশাদ ভাই নিজে মনে করেছেন, এখানে দাঁড়ানো উচিত নয়। কেন মনে হয়েছে সেটা তাঁর দলীয় বিষয়। এটা খুব একটা প্রভাব পড়বে না। কারণ, ডায়মন্ড হারবারের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বদ্ধ জেলখানার মধ্যে আছে। মানুষ মুক্তি চাইছে। সেই মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ যাকে পাবে তাঁকে সাপোর্ট দেবে। গত লোকসভা ও বিধানসভায় মানুষ ভেবেছিল, বিকল্প বিজেপি। এই লোকসভা কেন্দ্রে মানুষ এমন ভাব করছিল, চমক আছে...। সুকান্ত মজুমদার, দিলীর ঘোষরা বলছিলেন, চমক আছে। আজ এমন চমক দিয়েছে, প্রার্থী নিজেই চমকে গেছেন... হঠাৎ আমি প্রার্থী কেন ? এমন ভাব দেখাবে যেন অমিত শাহ নিজে প্রার্থী। এমন ভাব দেখাবে যেন নরেন্দ্র মোদি নিজে এখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী। ফলে, ডায়মন্ড হারবারের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন। যে লড়াই করতে পারবে মানুষ তাঁর সঙ্গে আছে। মানুষ ঝান্ডা দেখবে না, প্রতীক দেখবে না। 


প্রশ্ন : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার বলেছেন, তিনি গণতন্ত্রের পূজারি। তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। তাঁর কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেননি এমন কেউ যদি থাকে, দরকার হলে তিনি নিজে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। 


প্রতীক উর রহমান : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলার পরেও কলকাতা পৌরসভা নির্বাচনে এবিপি আনন্দের সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো উত্তর দিয়েছিলেন ? ফলে, মুখে একরকম কথা বলা আর কাজে করার মধ্যে আকাশ-পাতালের পার্থক্য আছে। একদিন ফলতা গিয়ে দেখুন, সেখানকার মানুষের কী অবস্থা। ওখানে এমন অবস্থা মানুষ কথা বলা দূরে থাক। মানুষ ভাল করে নিশ্বাস নিতে পারে না। বজবজ, ডায়মন্ড হারবারের একটা বড় অংশ, বিষ্ণুপুরের একটা বড় অংশের মানুষ ১০ বছরে ভোট দিতে পারেনি। না পঞ্চায়েত, না পৌরসভা, না লোকসভা, না বিধানসভা ভোটে। ছাপ্পা ভোট হয়েছে।


প্রশ্ন : এ তো সন্দেশখালির গল্প বলছেন ?


প্রতীক উর রহমান : ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অলিতে গলিতে সন্দেশখালি আছে। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অলিতে গলিতে শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের মতো নেতারা লুকিয়ে আছে। শুধু সময়ের অপেক্ষা। মানুষ যেদিন প্রতিরোধ করবে সেদিন অসংখ্য সন্দেশখালি ডায়মন্ড হারবারে বেরোবে। 


প্রশ্ন : আপনাদের দুই জুটি, আপনি আর সৃজন ভট্টাচার্য। এক ভাই লড়ছেন যাদবপুরে, আপনি লড়ছেন ডায়মন্ড হারবারে। দু'টোই খুব কঠিন আসন। দু'টো কঠিন সিটেই আপনাদের ওপর ভরসা রাখল আপনাদের দল। পারবেন, সেই ভরসা ফিরিয়ে দিতে ?


প্রতীক উর রহমান : আমি আর সৃজন যখন আড্ডা মারি এসএফআইয়ের অফিসে, ও সলমনের ভক্ত, আর আমি শাহরুখের ভক্ত। আমাদের একটা কমন ডায়লগ ছিল, হারকে জিতনে বালকো বাজিগর কহেতে হ্যায়। ফলে, লড়াই কঠিন হলে তবেই তো লড়ে মজা আছে। উত্তাল সমুদ্রে আপনি যদি ডিঙি নৌকা না চালান আপনি মাঝি হবেন কী করে ? উত্তাল সমুদ্রে যদি নৌকা চালাতে পারেন তবেই তো শক্ত মাঝি হবেন। একটা শান্ত পুকুরে নৌকা পার করাটা মাঝি হল নাকি ! পার্টির কাছে আমি আর সৃজন দুই জনেই কৃতজ্ঞ, এই কঠিন সিটে লড়াই করতে দেওয়ার জন্য। 


প্রশ্ন : দীপ্সিতাকে সঙ্গে নিয়ে ?


প্রতীক উর রহমান : একদম, দীপ্সিতা তো আছেই। শুধু দীপ্সিতা নয়, পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের যাঁরা আছেন আমরা সবাই একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে চাই। দীপ্সিতা-সৃজন আমরা একসঙ্গে ছাত্র রাজনীতি করেছি, ফলে একটু বাড়তি ভালবাসা তো আছেই। রাস্তাতে প্রতিদিন একসঙ্গে লড়াই করেছি। আশা করছি, সংসদে প্রতিদিন একসঙ্গে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করব। 


প্রশ্ন : জিতবেন বলছেন না, কিন্তু লড়াই হবে বলছেন ?


প্রতীক উর রহমান : আমাদের অভিধানে হার বা জিত বলে কোনও শব্দ নেই। আমাদের ডিকশনারিতে হয় জিত আছে, নয় শেখা আছে। হার বলে কোনও শব্দ আমাদের অভিধানে নেই। বামপন্থীরা হারতে জানে না। হয় জিততে জানে, নয় শিখতে জানে। ফলে, জিততে পারলে জিতব। নাহলে শিখতে পারলে শিখব। নতুন করে শিখব। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে এগবো। স্বপ্ন দেখার সাহস দেখাব। হার-জিত তো রাজনীতির ময়দানে আছে। আমরা উড়ো গল্প দিই না। ৪ লাখ-৮ লাখ ভোটে জিতব বলে মানুষকে ভোট দিতে দেব না, এমনটা করি না। 



    
শেষ দফা অর্থাৎ ১ জুন ভোট রয়েছে এই কেন্দ্রে। এখানে লড়াই মূলত চতুর্মুখী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সিপিএমের প্রতীক-উর রহমান ও বিজেপির অভিজিৎ দাসের মূল লড়াই । ময়দানে রয়েছেন- ISF -এর প্রার্থী মজনু লস্করও। শেষ হাসি কে হাসবেন তা জানা যাবে ৪ জুন।


সাক্ষাৎকারটি এবিপি লাইভ ফেসবুজ পেজের জন্য নিয়েছেন এবিপি আনন্দর প্রতিনিধি- উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।