Meera Pandey: চাইলেই নিরপেক্ষ থাকা যায়, মানুষের আস্থার জন্যই প্রয়োজন কেন্দ্রীয় বাহিনী, এবিপি আনন্দে মুখ খুললেন মীরা পান্ডে
Panchayat Elections 2023:জানালেন, রাজ্য পুলিশ দিয়েই সুষ্ঠ নির্বাচন করানো যায়। কিন্তু রাজ্যে সাধারণত এত পুলিশ থাকে না।
![Meera Pandey: চাইলেই নিরপেক্ষ থাকা যায়, মানুষের আস্থার জন্যই প্রয়োজন কেন্দ্রীয় বাহিনী, এবিপি আনন্দে মুখ খুললেন মীরা পান্ডে Panchayat Elections 2023 former WB Election Commissioner Meera Pandey opens up about the current situation Meera Pandey: চাইলেই নিরপেক্ষ থাকা যায়, মানুষের আস্থার জন্যই প্রয়োজন কেন্দ্রীয় বাহিনী, এবিপি আনন্দে মুখ খুললেন মীরা পান্ডে](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/06/22/c54d79feff7ae81d79d9d394a68dce001687419931913338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: চলতি বছরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী(Panchayat Elections 2023) নামানো নিয়ে টানাপোড়েন চলছে লাগাতার। আর তাতে বার বার উঠে এসেছে রাজ্যের প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার মীরা পান্ডের (Meera Pandey)। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)বিচারপতির মুখেও উঠে এসেছে তাঁর আমলের নির্বাচনের কথা। সেই আবহে এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এবার মুখ খুললেন তিনি। জানালেন, রাজ্য পুলিশ দিয়েই সুষ্ঠ নির্বাচন করানো যায়। কিন্তু রাজ্যে সাধারণত এত পুলিশ থাকে না। তার জন্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন (Central Forces)।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে শুধু বিরোধীরা নন, হাইকোর্ট পর্যন্ত ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। তা নিয়ে মীরা বলেন, "নিজে চাইলেই নিরপেক্ষ থাকা যায়, নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করা যায়। রাজ্য পুলিশ দিয়ে সুষ্ঠ নির্বাচন করানোই যায়। কিন্তু রাজ্যে এত পুলিশ থাকে না। সাধারণ মানুষের আস্থার কারণেই প্রয়োজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর।"
কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ আগেই দিয়েছে আদালত। তার পরেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে অনীহা দেখানো হয় বলে অভিযোগ বিরোধীদের। মীরার বক্তব্য, "সাধারণ মানুষের ধারণা, নিরপেক্ষ ভাবে পরিস্থিতি সামলাতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পুলিশ, সরকারি কর্মচারীর অভাব। তাই একাধিক দফায় ভোট করতে হয়। আমরা সেই ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছিলাম। তাই পাঁচ দফায় করেছিলাম। সুষ্ঠ নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশন একটি প্রতিষ্ঠান। কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করবে, এটাই প্রত্যাশিত।"
আদালতে কমিশনের ভর্ৎসিত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে মীরা বলেন, "এই নির্বাচন কমিশনকে কেন এত ভর্ৎসনা! এটা কাম্য নয়, দুর্ভাগ্যজনক। কোথায় কত বাহিনী প্রয়োজন, সেটা নির্ধারণ করতে পারে কমিশনই।" রাজ্যপাল বর্তমান নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার জয়নিং রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করায়, রাজীবের পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সে প্রসঙ্গে মীরা বলেন, "রাজ্যপালের পদক্ষেপ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে। হিংসা রুখতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।"
মীরা আরও জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো তৃণমূল স্তরের ভোটে অশান্তি ঘটেই। কিন্তু সবসনয় অভিযোগ সঠিকও হয় না। পরিস্থিতি যাচাইয়ের জন্য কমিশনকেও সময় দিতে হবে। মীরা জানিয়েছেন, সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করাই মূল লক্ষ্য। সেটা না করা গেলে কিছুই হবে না।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)