Belashuru: 'অতীন্দ্র দাদা'র মতো মানুষ বিরল, 'বেলাশুরু'তে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের শ্যুটিংয়ের কাহিনি প্রকাশ্যে
Belashuru Update: মাথায় গুরুতর চোট নিয়েও কলকাতা থেকে টাকি গিয়ে শ্যুটিং সেরেছিলেন রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত। কারণ তিনি পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে কথা দিয়েছিলেন। সেই কথা তাঁকে রাখতেই হত।
কলকাতা: কথা দিলে সেই কথা রাখতেই হবে। এমনই তাঁর শিক্ষা, এমনই তাঁর অভ্যাস। যত বিপর্যয়ই হোক না কেন, যত সমস্যাই হোক না কেন, কাউকে কথা দিলে তা রাখেন তিনি। তিনি রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত (Rudraprasad Sengupta)। প্রেক্ষাগৃহে সাফল্যের সঙ্গে চলছে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shiboprosad Mukherjee) ও নন্দিতা রায় (Nandita Roy) পরিচালিত, 'বোলাশুরু' (Belashuru)। আর সেই ছবির বিভিন্ন 'বিহাইন্ড দ্য সিনস' ভিডিও পোস্ট হচ্ছে প্রযোজনা সংস্থার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। সেখানেই উঠে এল 'তিন্নির অতীন্দ্র দাদা'র কথা।
'তিন্নির অতীন্দ্র দাদা'
এদিন 'উইন্ডোজ'-এর পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে সোহিনী সেনগুপ্তকে বলতে শোনা যায়, 'সেদিন আসলে বাবা আসার সময় বাথরুমে পড়ে গিয়েছিল। মাথায় কেটে গিয়েছিল। সপ্তর্ষি (সপ্তর্ষি মৌলিক) খুব ভয় পেয়ে যায়। এত বয়সে পড়ে গেছে, মাথায় লেগেছে, পারবে কি না।' কিন্তু রুদ্রপ্রসাদ তাঁর কথার খেলাপ করতে নারাজ। বলেন, 'না না না। আমি কথা দিয়েছি শিবুকে আমি যাব।' তখন বাড়ির সকলে রাজিও হন।
মাথায় গুরুতর চোট নিয়েও কলকাতা থেকে টাকি গিয়ে শ্যুটিং সেরেছিলেন রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত। কারণ তিনি পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে কথা দিয়েছিলেন। সেই কথা তাঁকে রাখতেই হত। ছবিতে তিনি তিন্নির অতীন্দ্র দাদা। স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের সামনে তাঁকে বসে সংলাপ বলতে শোনা যায়, 'এই তিন্নি, চিনতে পারছিস? আমি অতীন্দ্র দাদা।' বাধা বিপত্তি পেরিয়েও অভিনেতার কথা রাখা যে তাঁর কর্তব্য তার শিক্ষা আরও একবার। তার প্রমাণও ফের একবার দিলেন রুদ্রপ্রসাদ।
আরও পড়ুন: Belashuru: পৃথিবীতে আর নেই স্বাতীলেখা, স্মৃতিচারণায় তাঁর ডাবিংয়ের মুহূর্ত শেয়ার শিবপ্রসাদের
View this post on Instagram
এদিন প্রযোজনা সংস্থার তরফে ভিডিও পোস্ট করে লেখা হয়, 'আমাদের স্যার, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত। আজ অবধি তার কাছে তার কথার দাম তার নিজের থেকেও বেশী! এমন মানুষ এখন বিরল। আপনি সুস্থ থাকুন... ভালো থাকুন।' (অপরিবর্তিত)