Mahakumbh 2025: মৌনী অমাবস্যায় বাবার সঙ্গে মহাকুম্ভে শ্রীমা, কী অভিজ্ঞতা হল অভিনেত্রীর?
Sreema Bhattacharyya at Mahakumbh: সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীমা লিখেছেন, 'হর হর মহাদেব। ১৪৪ বছর পর আসা মৌনী অমাবস্যার পূণ্যতিথিতে বাবার সাথে বাবার নামে সঙ্গমে ডুব!'

কলকাতা: মৌনী অমাবস্যায় মহাকুম্ভে অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য্য। সঙ্গী বাবা ও পরিবারের মানুষেরা। কাকভোরে পরিবারের সকলের সঙ্গে ত্রিবেণী সঙ্গমে পৌঁছেছিলেন শ্রীমা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিলেন সেই সমস্ত ছবি। অন্যদিকে আজই মহাকুম্ভে ঘটে গিয়েছে দুর্ভাগ্য়জনক ঘটনা। সকাল থেকেই বদলে গিয়েছে মহাকুম্ভের ছবিটা। পূণ্যস্নান, জয়ধ্বনির বদলে শুধুই কান্না, চোখের জল আর হাহাকার। গভীর রাতে মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে স্নান শুরুর আগেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সঙ্গমের কাছে ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড পড়ে। এই ঘটনায় হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু বয় অন্তত ১০ জনের। শতাধিক পুণ্যার্থী গুরুতর আহত। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থলে ঢুকছে একের পর এক অ্যাম্বুল্যান্স। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ভিড় সামলাতে বাতিল কুম্ভ স্পেশাল ট্রেন। দুর্ঘটনার পর উদ্ধারে নামা আধাসেনার সঙ্গে যোগ দিয়েছে NSG কমান্ডোরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীমা লিখেছেন, 'হর হর মহাদেব। ১৪৪ বছর পর আসা মৌনী অমাবস্যার পূণ্যতিথিতে বাবার সাথে বাবার নামে সঙ্গমে ডুব! এই সুযোগ দেওয়ার জন্য বিশ্বব্রহ্মান্ডকে অনেক ধন্যবাদ।
আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা যা মনে যত্ন করে রাখা থাকবে'। শ্রীমা ছাড়াও টলিউডের সঙ্গে যুক্ত একাধিক মানুষেরা মহাকুম্ভে পূণ্যস্নানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। তবে তাঁদের কেউই কোনও বিশেষ ব্যবস্থা নেননি।
শ্রীমার মতোই আজ সকালেই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিয়েছেন রানা ভট্টাচার্য্য। সঙ্গে ছিলেন শ্রীকান্ত মোহতা থেকে শুরু করে বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা। রানার কথায়, 'প্রচুর ভিড়, তবে খুব ভাল ব্যবস্থা। মাঝরাতে যে একটা এতবড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তার টের পর্যন্ত পাইনি আমরা। যেখানে রয়েছি, তার থেকে প্রায় ৫-৬ কিলোমিটার দূরে সঙ্গম। আমরা সকাল ৭টা নাগাদ বেরিয়ে হেঁটে ধীরেসুস্থে সঙ্গমে গিয়েছি। স্নান করেছি। প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। তবে আমরা কোনও বিশেষ ব্যবস্থা নিইনি। লাখ লাখ সাধারণ মানুষের মতোই স্নান করেছি সঙ্গমে। কোনওরকম সমস্যাই হয়নি। রাস্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ পোস্টিং, অ্যাম্বুল্যান্স ছিল। তবে খুব ভিড় থাকায় চলার গতি ছিল ভীষণ ধীরে। আস্তে আস্তে যেতে হচ্ছিল। তবে আমার মনে হয়, কেউ যদি নিয়ম না মেনে তাড়াতাড়ি কোথাও দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে দুর্ঘটনাই ঘটবে। তবে আমরা মহাকুম্ভে গিয়ে বুঝতেই পারিনি এমন দুর্ভাগ্যজনক একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। পরে খবরে দেখলাম। যে পরিবারের মানুষেরা আহত বা নিহত হয়েছেন, তাঁদের জন্য সমবেদনা।'
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
