এক্সপ্লোর
Advertisement
(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
কেরলে বিমান দুর্ঘটনায় উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, ৬০০ স্থানীয় ‘রিয়েল হিরো’কে পাঠানো হল কোয়ারান্টিনে
সেদিনের উদ্ধারকার্যে যাঁরা বাইরে থেকে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সেই ‘রিয়েল হিরো’দের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যবাসী তথা দেশের মানুষ। তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ায় কুর্ণিশ জানিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। কিন্তু নিজের স্বাস্থ্যের কথা না ভেবে এভাবে উদ্ধারকাজে যাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাঁদের দেখাশোনার জন্য তো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। রাজ্য সরকার এই উদ্ধারকারীদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছেন এয়ারপোর্ট এলাকাতেই।
তিরুঅনন্তপুরম: কেরলের কালিকট বিমান বন্দরে গত শুক্রবার দুর্ঘটনার পর যে সব মানুষ নিজেদের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে নিরাপদ দূরত্ববিধির তোয়াক্কা না করে উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, সেই ৬০০ জন ‘রিয়েল হিরো’কে স্বাস্থ্যের কথা ভেবে কোয়ারান্টিনে পাঠাল রাজ্য সরকার। তাঁদের দেখাশোনার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে বিমানবন্দর এলাকাতেই।
চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক দুর্ঘটনার দিন কেমন করে, কোন পরিস্থিতিতে রানওয়েতে ঢুকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন এলাকার মানুষ। সেদিন সন্ধ্যা ৭টা ৪০ নাগাদ রানওয়ে থেকে পিছলে দুখণ্ড হয়ে যায় বিমানটি। ১৯০ জন আরোহী সমেত দুবাই থেকে আসা এই বিমানটি যখন দুর্ঘটনায় পড়ে তখন ওয়াকি টকি মারফত খবর আসে সিআইএসএফ কন্ট্রোল রুমে। সেখান থেকে ফোন যায় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ও কুইক রেসপন্স টিমের কাছে।ক্রমে সতর্কতা পৌঁছে যায় এয়ারপোর্ট দমকল কেন্দ্রে। সিআইএসএফ থেকে ফোন করা হয় এয়ারপোর্ট স্বাস্থ্য বিভাগ এবং পুলিসকেও। বিমানবন্দরে যখন এ রকম একটা দিশেহারা অবস্থার মধ্যে রয়েছেন, কেমন করে অবস্থা সামাল দিয়ে উদ্ধার কাজ চালাবেন সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না আধিকারিকরা, সেই হুলস্থূল পরিস্থিতির মধ্যেই স্থানীয় লোকেরা চলে আসেন দুর্ঘটনা স্থলে। এত সংখ্যক যাত্রীর কথা ভেবে স্থানীয় লোকেদের উদ্ধারকার্যে হাত লাগানোর অনুমতিও মঞ্জুর করে দেন কালিকূট বিমান বন্দরের ডেপুটি কমান্ডান্ট। এভাবেই উদ্ধারকাজে যুক্ত হয়ে যান প্রায় ৬০০ জন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫০ জন চিকিৎসাধীন। আহতদেরও করোনা পরীক্ষা করে তবেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিনের উদ্ধারকার্যে যাঁরা বাইরে থেকে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সেই ‘রিয়েল হিরো’দের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যবাসী তথা দেশের মানুষ। তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ায় কুর্ণিশ জানিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। কিন্তু নিজের স্বাস্থ্যের কথা না ভেবে এভাবে উদ্ধারকাজে যাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাঁদের দেখাশোনার জন্য তো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। রাজ্য সরকার এই উদ্ধারকারীদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছেন এয়ারপোর্ট এলাকাতেই। এ ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা। স্থানীয় মানুষের ভূমিকার বহুল প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও। তিনি ট্যুইট করে লিখেছেন, ‘খারাপ আবহাওয়া, করোনা আতঙ্ক সবকিছুকে উপেক্ষা করে স্থানীয় মানুষ যেভাবে উদ্ধারের কাজে এগিয়ে এসেছেন তা তুলনাহীন। যেভাবে মানুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন আহতদের বাঁচাতে রক্তদান করার জন্য, সেই ছবিটা ভোলা সম্ভব নয়।‘
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
জেলার
Advertisement