Congress: পাঁচ রাজ্যের ভোটে ধরাশায়ী কংগ্রেস, ইস্তফা দেবেন রাহুল, প্রিয়ঙ্কা?
CWC Meet: কাল থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার বাজেট অধিবেশন। রণকৌশল স্থির করতেই সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে আজ বৈঠকে বসছে কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটি।
বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: পাঁচ রাজ্যের ভোটে ধরাশায়ী কংগ্রেস (Congress)। এই প্রেক্ষিতে আজ বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি (Congress Working Committee)। সূত্রের খবর, ভোটে হারের দায় নিয়ে পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন রাহুল (Rahul Gandhi) ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী (Priyanka Gandhi Vadra)। বিকেলে দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে এই বৈঠক বসবে ওয়ার্কিং কমিটি। তার আগে সকাল ১০টা থেকে ১০ জনপথে সনিয়া গাঁধীর বাসভবনে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠক শুরু হয়েছে।
কাল থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার বাজেট অধিবেশন। রণকৌশল স্থির করতেই সনিয়া গাঁধীর (Sonia Gandhi) নেতৃত্বে আজ বৈঠকে বসছে কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটি।
পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ফল একেবারেই ভাল হয়নি। কোনও রাজ্যেই জয় পায়নি কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশে ৪০৩ আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র দু’টি আসন। পঞ্জাবে ১১টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ১৮টি আসন। এই রাজ্যে কংগ্রেসই ক্ষমতায় ছিল। তারা ক্ষমতা হারাল। উত্তরাখণ্ডে ৭০টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ১৮টি আসন। গোয়ায় কংগ্রেস পেয়েছে ১২টি আসন। মণিপুরে তাদের দখলে গিয়েছে ৬টি আসন।
প্রথমবার দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে উত্তরপ্রদেশে চরম অসফল প্রিয়ঙ্কা। আরও তলানিতে কংগ্রেস। আরও অন্ধকারে দেশের গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। আরও ধাক্কা খেল ব্র্যান্ড গাঁধী। আরও জোরাল হল সেই প্রশ্ন, কংগ্রেসের ভবিষ্যত কী? ঘুরে দাঁড়ানো কি আদৌ সম্ভব? না কি গেরুয়া শিবিরের ‘কংগ্রেস মুক্ত ভারতের’ ডাক সফল হতে চলেছে?
এবার প্রিয়ঙ্কাকে সামনে রেখে উত্তরপ্রদেশে প্রচারে নেমেছিল কংগ্রেস। ‘লড়কি হুঁ...লড় সকতি হুঁ’ স্লোগান নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। উপচে পড়া ভিড় ছিল প্রিয়ঙ্কার জনসভা, রোড শোতে। কিন্তু ভিড় ভোটে পরিণত হল না। ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস মাত্র সাতটি আসন পেয়েছিল। এবার আরও কমে দুইয়ে দাঁড়াল তারা। পঞ্জাবে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। সেখানেও আম আদমি পার্টির কাছে ক্ষমতা হারাল তারা। গোয়ায় আরও একবার বিজেপিকে হারাতে ব্যর্থ হল কংগ্রেস। উত্তরাখণ্ডেও বিজেপিকে সরকার থেকে সরাতে অসফল হল তারা। মণিপুরে একদা লাগাতার ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। তারা এবারও চরম ব্যর্থ হল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। যার জেরে আরও একবার গাঁধী পরিবারের নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। জি-২৩ নেতারা ফের দলে সংস্কারের দাবি তুলছেন।