(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
আমেরিকার বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসে নিজেদের ৮৪ শতাংশ ছেড়ে দিল ওয়ারেন বাফেটের বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে
বিশ্বজুড়ে করোনা থাবায় পর্যুদস্ত অর্থনীতি। এটাও কি হবে বাফেটেও কোনও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত? জল্পনা মার্কিন বণিক মহলে।
নিউইয়র্ক: একসময় জেদের বশে লোকসানের মুখে বন্ধ হতে যাওয়া বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কিনে নিয়ে তাকে পৃথিবীর সেরা ১০টি কোম্পানির মধ্যে একটি করে তুলেছিলেন ওয়ারেন বাফেট। বিশ্ব ইতিহাসে সর্বোচ্চ শেয়ার মূল্য ছিল ওয়ারেন বাফেটের সংস্থার। এভাবেই বিভিন্ন সময় আর্থিক বিনিয়োগে নিজের দূরদর্শিতা দেখিয়ে এসেছিলেন বাফেট। এবার বছরের প্রথম প্রান্তিকে আমেরিকার বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসে নিজেদের ৮৪ শতাংশ ছেড়ে দিল ওয়ারেন বাফেটের বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে।
এটাও কি হবে বাফেটেও কোনও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত? জল্পনা মার্কিন বণিক মহলে। বিশ্বজুড়ে করোনা থাবায় পর্যুদস্ত অর্থনীতি। সেই কথা ভেবেই কি হবে এই সিদ্ধান্তগ্রহণ? চড়ছে জল্পনার পারদ। কারণ মার্কিন মুলুকে করোনা-ধাক্কা প্রভাব ফেলেছে গোল্ডম্যান স্যাকস গ্রুপে।
শুক্রবার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) জমা করা এক নথিতে বার্কশায়ার জানিয়েছে, তারা গোল্ডম্যান স্যাকসে তাদের শেয়ারের ৮৪ শতাংশ ছেড়ে দিল। যদিও আমেরিকান এক্সপ্রেস, ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা, পিএনসি, ওয়েলস ফারগোর মতো সংস্থায় এখনও সিংসভাগ শেয়ার বার্কশায়ারের দখলে।
গত ২ মে সংস্থার বার্ষিক বৈঠকে বাফেট জানান, অতেমারীর প্রকোপ অর্থনীতিকে পর্যুদস্ত করলেও পুরো ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা সমস্যার মধ্যে পড়বে না। তবে বড় বড় ব্যাঙ্কও এই পরিস্থিতিতে আর্থিক সমস্যায় পড়তে পারে। তবে শেয়ার ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত কোথাও দেননি তিনি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বাফেট জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চার এয়ারলাইনসে নিজের কোম্পানির সব শেয়ার বিক্রি করে দেবে। এর থেকেই বণিক মহলের ধারণা, বাফেট তুলনামূলক নিরাপদ শেয়ারগুলোই আপাতত ধরে রাখতে চাইছে।