(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
WhatsApp Privacy Update: হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, নিরাপত্তা বাড়ছে, ঘোষণা মার্ক জুকারবার্গের
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়েও নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এবার এ প্রসঙ্গেই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন ফেসবুক সিইও মার্ক জুকারবার্গ।
নিউ ইয়র্ক: হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়েও নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এবার এ প্রসঙ্গেই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন ফেসবুক সিইও মার্ক জুকারবার্গ। তিনি ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, ‘আমরা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বাড়াচ্ছি। যাঁরা গুগল ড্রাইভ বা আইক্লাউডে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সংরক্ষণ করে রাখতে চান, তাঁদের জন্য নতুন ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপই বিশ্বের প্রথম মেসেজিং সার্ভিস, যা মেসেজের গোপনীয়তা তো বজায় রাখছেই, একইসঙ্গে চ্যাট সংরক্ষণ করারও সুবিধা দিচ্ছে। এর জন্য প্রযুক্তিগত উন্নতি করতে হয়েছে। এটা করা সহজ ছিল না। তবে আমরা সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।’
জুকারবার্গ আরও জানিয়েছেন, ‘যাঁরা জানতে চাইছেন, আমরা কীভাবে এই প্রযুক্তিগত উন্নতি করতে পেরেছি? তাঁদের জন্য আমরা শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছি। এছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং ব্লগও প্রকাশিত হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রযুক্তিগত যাবতীয় খুঁটিনাটি এই ব্লগে আছে। যে কেউ সেটা দেখে নিতে পারেন।’
হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘আমরা উন্নততর প্রযুক্তির সুবিধা দিতে চলেছি। সব ব্যবহারকারীই এই সুবিধা পাবেন। কিছুদিনের মধ্যেই এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপটেড ব্যাকআপের সুবিধাও পেতে চলেছেন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা। যাঁরা চাইবেন, তাঁরা অতিরিক্ত নিরাপত্তার সুবিধাও পাবেন। যদি কোনও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সহ চ্যাট সংরক্ষণ করতে চান, তাহলে একমাত্র তাঁরাই সেই চ্যাট হিস্ট্রি দেখতে পারবেন। অন্য কেউ সেই ব্যাকআপ দেখতে পাবে না। এমনকী হোয়াটসঅ্যাপেরও কারও পক্ষে সেই চ্যাট হিস্ট্রি দেখা সম্ভব হবে না।’
হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ‘হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০০ কোটিরও বেশি। প্রতিদিন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা ১০ হাজার কোটি মেসেজ পাঠান। এত বড় মেসেজিং সার্ভিসের পক্ষে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখা বড় ব্যপার। আমরা বিশ্বাস করি, ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করার ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে।’