Agni 5 Missile Test : আঘাত হানতে সক্ষম বেজিংয়ে, পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম অগ্নি ৫ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ ভারতের
India- China Face Off:প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত-চিন নতুন উত্তেজনার মাঝে পরমানু অস্ত্রবহনে সক্ষম ব্যালেস্টিক মিসাইলের পরীক্ষায় কোথাও গিয়ে কি চিনকে বার্তা দিতে চাইল ভারত ! এই প্রশ্নই ঘোরপাক খাচ্ছে।
নয়াদিল্লি : পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম (nuclear-capable ballistic missile)। পাল্লা ৫ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। ওড়িশার চাঁদিপুরের আবদুল কালাম আইল্যান্ড (Abdul Kalam Island) থেকে সফলভাবে পরীক্ষা করে দেখা হল অগ্নি ৫ মিসাইলের। দেশের নিরাপত্তা মন্ত্রক জানিয়েছে, রাতের আকাশে পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপন করা হয়েছিল অগ্নি ৫ ব্যালেস্টিক মিসাইলের।
কিন্তু অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ভারত-চিন সংঘর্ষের (India-China face off) কয়েকদিনের মধ্যেই এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ নিয়ে তৈরি হল কৌতুহল। কারণ, অন্ত-মহাদেশীয় এই ব্যালেস্টিক মিসাইলের ক্ষমতা। ৫ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম এই মিসাইলের আঘাত হানার ক্ষমতাস্থলের মধ্যেই পড়ছে বেজিং। তাই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত-চিন নতুন উত্তেজনার মাঝে পরমানু অস্ত্রবহনে সক্ষম ব্যালেস্টিক মিসাইলের পরীক্ষায় কোথাও গিয়ে কি চিনকে বার্তা দিতে চাইল ভারত ! এই প্রশ্নই ঘোরপাক খাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬২ সালে ভারত-চিনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম হয়েছিল অরুণাচল প্রদেশের মাটিকে কেন্দ্র করে। বেজিং মাঝে মধ্যেই যেটিকে তিব্বতের অংশ হিসেবে দাবি করে থাকে। মাঝের কয়েক দশক অবশ্য সেভাবে কোনও বড় কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি। যদিও ২০২০ সালে গালওয়ান প্রদেশে হাতাহাতি, সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল দু'দেশের সেনা। যেখানে পেরেক পোঁতা লাঠি, লোহার রড় নিয়ে ভারতীয় সেনার ওপর আক্রমণ শানিয়েছিল চিনা সেনা। দেশের সীমান্ত অক্ষত রাখার পথে প্রাণ হারিয়েছিলেন একাধিক ভারতীয় সেনা।
भारत का रक्षा क्षेत्र में एक ओर नव कीर्तिमान!
— Kailash Choudhary (@KailashBaytu) December 15, 2022
रक्षा अनुसंधान और विकास संगठन द्वारा भारत की पूर्ण परिचालन सीमा(5500 किलोमीटर) पर परमाणु सक्षम ICBM अग्नि-V मिसाइल का सफल परीक्षण किया।#DRDO #NewIndia #Agni5 pic.twitter.com/ZQZt2fkGde
মাঝে ডোকা লা'তেও ভারত-চিনের মধ্যে দ্বন্দ্বের আবহ তৈরি হয়েছিল। আর কিছুদিন আগেই তাওয়াংয়েও সংঘর্ষে জড়ায় দু'দেশের সেনা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে ভারতের মাটিতে চিনা সেনা ঢুকতে চাইলে প্রতিরোধ তৈরি করে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, ২০২১ সালে অক্টোবর মাসেও একই এলাকায় ঢুকে পড়েছিল বহু সংখ্যক চিনা সেনা।সেই সময়ও দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। তবে সেবার এত মারাত্মক আকার নেয়নি সংঘর্ষ। এবার দু’পক্ষের মধ্য়ে জোরদার সংঘর্ষ বাঁধে বলেই সূত্রের খবর।