Bangladesh Tense Again: নতুন করে অশান্তির-আগুন বাংলাদেশে, সংঘর্ষে জখম ৩০; নিষিদ্ধ শেখ হাসিনার দলের ছাত্র সংগঠন
Bangladesh News Update: অগাস্টে যে ছাত্র আন্দোলনের জেরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন, সেই আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন শাহাবুদ্দিন।
ঢাকা : নতুন করে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ শাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে শুরু হল আন্দোলন। বিক্ষুব্ধরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনার জেরে ৩০ জন জখম। যদিও অগাস্টে যে ছাত্র আন্দোলনের জেরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন, সেই আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন শাহাবুদ্দিন।
এদিকে ছাত্রদের প্রতিবাদ-আন্দোলনে হামলা চালানোর অভিযোগ। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে এবার আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলিগকে নিষিদ্ধি ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একটি সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি উদ্ধৃত করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সন্ত্রাস-বিরোধী আইনে বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র লিগকে নিষিদ্ধ করছে বাংলাদেশ সরকার।
কেন ফের শুরু হল প্রতিবাদ-আন্দোলন ?
শাহাবুদ্দিন ঘোষণা করেছিলেন যে, তাঁর একসময়ের সঙ্গী যেদিন বাংলাদেশ ছেড়ে ভারত চলে গিয়েছিলেন সেদিনই ইস্তফা দিয়েছিলেন। যার জেরে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পথ প্রশস্থ হয়। যদিও পরিস্থিতি পাল্টায় গত সপ্তাহে। যখন তিনি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, হাসিনার কাছ থেকে তিনি কোনও লিখিত পাননি, যার জেরে তাঁর ইস্তফা বেআইনি।
এই মন্তব্যের জেরে ক্ষোভ ছড়ায়। মঙ্গলবার ঢাকায় শাহাবুদ্দিনের বাসভবন বাইরের চত্বরে একাংশ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। হাসিনা এবং আওয়ামি লিগের প্রতি তাঁর আনুগত্যের অভিযোগ তোলেন। শাহাবুদ্দিনের পদত্যাগেরও দাবি তোলেন তাঁরা।
প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেওয়া ফারুক হোসেন নামে এক ছাত্র নেতা বলেন, "যেহেতু ছাত্রদের-নেতৃত্বে সংগঠিত আন্দোলন ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়েছে, তাই সেই সরকারের থেকে কোনও প্রেসিডেন্ট রাখা যাবে না। জনগণের প্রেসিডেন্ট এনে তাঁকে সরাতেই হবে।"
এই দাবি তুলে বুধবার মধ্যরাতে শয়ে শয়ে প্রতিবাদী নিরাপত্তাবেষ্ঠনী লঙ্ঘন করে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। ঢাকা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার তালেবুর রহমান বলছেন, ঘটনার জেরে অন্ততপক্ষে ২৫ জন অফিসার জখন হয়েছেন। ৯জনের এখনও চিকিৎসা চলছে। বিক্ষুব্ধরা পাথর ছোড়েন এবং যথেচ্ছ হামলা চালান। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
একটি সংবাদ সংস্থাকে পুলিশ অফিসার মহম্মদ ফারুক জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আরও ৫ জনের চিকিৎসা চলছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে