ICMR on Coronavirus: পরিবর্তনশীল উপসর্গ, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে চিন্তিত আইসিএমআর
ইতিমধ্যেই সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার খবর নিশ্চিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
নয়াদিল্লি: দেশের উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। বর্তমানে সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে চিন্তিত আইসিএমআর। ইতিমধ্যেই সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার খবর নিশ্চিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ তথা আইসিএমআর এর ডিরেক্টর জেনারেল ডা. বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, বর্তমানে উপসর্গের তীব্রতা গতবছরের থেকে অনেক কম। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, চলতি বছর উপসর্গগুলি দেখা দিয়েছে তা আগের বছরের তুলনায় অনেক কম। দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর এবছর মূলত সংক্রমিত দের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়েছে বা হচ্ছে। কিন্তু গত বছর শুকনো কাশি, গা হাত পা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা যায় আক্রান্তদের।
একই সঙ্গে তিনি আর্টিফিশিয়াল পরীক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে বলেছেন। তাঁর কথায়, আপাতত দুই বা তার বেশি জিনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান পরিবর্তন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুর হার অপরিবর্তনশীল।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ তথা আইসিএমআর এর ডিরেক্টর জেনারেল ডা. বলরাম ভার্গবের কথায়, এই পর্বে আক্রান্তদের মধ্যে মূলত তরুণদের সংখ্যা বেশি। প্রথম ওয়েভে আক্রান্তদের গড় বয়স ছিল ৫০ বছর। এই পর্বে গড় বয়স ৪৯ বছর। গত বছর আক্রান্ত হলে অনেক বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চলতি বছরের তুলনায়।
এদিকে, আগের সব নজির ভেঙে এই নিয়ে পরপর দুদিন একদিনে করোনা সংক্রমণ ছাপিয়ে গেল আড়াই লক্ষ। এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮১০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১,৬১৯ জনের। ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৭৮ জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৫০ লক্ষ ৬১ হাজার ৯১৯ জন। অ্যাক্টিভ কেস ১৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৩২৯। মোট সুস্থতার সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮২১। মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৬৯।