World News:ঘাতক ইঞ্জেকশন দিতে গিয়ে মিলল না 'শিরা'-ই, আমেরিকায় স্থগিত মৃত্যুদণ্ড
Execution Halted In US:, ঘাতক ইঞ্জেকশন দিতে গিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির 'ভেন' খুঁজে পেলেন না আমেরিকার ইদাহো প্রদেশের জেল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ডাক্তাররা।
নয়াদিল্লি: 'সিরিয়াল কিলিং'-র অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছিল ৭৩ বছরের টমাস ক্রিচ (Execution In US Halted)। কিন্তু সাজা কার্যকর করা গেল না। জেল প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘাতক ইঞ্জেকশন দিতে গিয়ে টমাসের 'ভেন' খুঁজে পাননি আমেরিকার ইদাহো প্রদেশের জেল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ডাক্তাররা। আট বার চেষ্টার পর হাল ছেড়ে দেন তাঁরা।
যা জানা গেল...
'এগজিকিউশন চেম্বারে' প্রায় ঘণ্টাখানেক হাত-পা শক্ত করে বেঁধে বসিয়ে রাখা হয়েছিল টমাসকে। সাধারণ ভাবে, ইদাহো প্রদেশে কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হলে, যা যা করা হয়ে থাকে, সবই পালন হয়। কিন্তু আসল কাজটি করতে গিয়ে ঘাম ছুটে যায় ডাক্তারদের। ঘাতক ইঞ্জেকশনটি যে ইন্ট্রাভেনাস লাইনের মাধ্যমে শরীরে ঢুকবে, সেটি তৈরি করা হবে কী উপায়ে? 'ইদাহো ডিপার্টমেন্ট অফ কারেকশনস'-র ডিরেক্টর জোশ টিওয়াল্ট জানান, সিরিয়াল কিলারের দেহে ভেন খোঁজার জন্য আট বার চেষ্টা করেন ডাক্তাররা। কিন্তু মেলেনি। ফলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়। তাঁর আরও সংযোজন, 'ঠিক কোন মেয়াদের মধ্য়ে এই সাজা কার্যকর করতে হবে বা এর পর কী করণীয়, এই নিয়ে আমাদের কোনও ধারণা নেই। আগামী কয়েকদিনে এই নিয়ে আলোচনা করা হবে।' জেল সূত্রে অবশ্য খবর, প্রক্রিয়াটি চলাকালীন টমাস কখনও কোনও ব্যথা বা যন্ত্রণার কথা জানায়নি। শুধু পরের দিকে ডাক্তারদের বলেছিল, পায়ে খানিকটা অসুবিধা রয়েছে। তবে যে মুহূর্তে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়, সেই মুহূর্তে টমাসের মুখে স্বস্তির ছাপ দেখা গিয়েছিল।
কে এই টমাস?
গত ৪০ বছর ধরে তার মৃত্যুদণ্ডের আবেদনে শুনানি চলছে। মৃত্য়ুদণ্ড কার্যকর হলে গত ১২ বছরে ইদাহো প্রদেশের প্রথম এমন ঘটনা হত এটি। ১৯৮১ সালে জেলে থাকাকালীন সহবন্দিকে হত্যা করেছিল টমাস। অন্তত খানপাঁচেক খুনের অভিযোগে সেই সময়ে জেল হয়েছিল তার। যদিও টমাসের দাবি, এগুলি ছাড়াও অন্তত ১২টি খুন করেছে সে। তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে গিয়ে জেলের ডাক্তাররা এমন ফাঁপরে পড়বেন, সে কথা অবশ্য কল্পনাতেও ছিল না। তবে মার্কিন ইতিহাসে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে গিয়ে ধাক্কা খাওয়ার ঘটনা এই একটিই নয়। খুনের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলাবামার কেনেথ স্মিথ নামে এক বন্দিকে ২০২২ সালের নভেম্বরে ঘাতক ইঞ্জেকশন দিতে গিয়ে এই ভাবেই ফাঁপরে পড়েছিলেন জেল-কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। এই প্রথম মার্কিন মুলুকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছিল।