Dhiraj Sahu I-T Raid : 'টাকা উদ্ধারে সর্বকালীন রেকর্ড', কংগ্রেস সাংসদের আস্তানা থেকে উদ্ধার ৩৫৪ কোটি !
Income Tax raid At Dhiraj Sahu: এক দফায় আয়কর হানায় এখনও পর্যন্ত সর্বকালীন রেকর্ড টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
অণির্বাণ বিশ্বাস, রাঁচি : ৬ দিনে পড়ল ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও বাংলাজুড়ে আয়কর (income tax ) তল্লাশি। ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাউয়ের ( Rajya Sabha MP Dhiraj Sahu ) রাঁচির প্রাসাদোপম বাড়ি, অফিস, কারখানা-সহ একযোগে ৯টি জায়গায় তল্লাশি শেষই হচ্ছে না। নোটের পাহাড় ক্রমেই উঁচু হয়ে চলেছে। সূত্রের দাবি, আয়কর দফতরের আধিকারিকরা এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৫৪ কোটি টাকা বের করেছেন ধীরজ সাউয়ের বিভিন্ন আস্তানা থেকে।
কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাউয়ের রাঁচির বাড়িতে এখনও চলছে পাহাড় প্রমাণ নোট গোনার পালা। এক দফায় আয়কর হানায় এখনও পর্যন্ত সর্বকালীন রেকর্ড টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। গত বুধবার কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাউয়ের মালিকানাধীন বলদেব সাউ গ্রুপ অফ কোম্পানিজ, বুদ্ধ ডিস্টিলারিস প্রাইভেট লিমিটেড, এবং বুদ্ধ দিয়া ডিস্টিলারিস প্রাইভেট লিমিটেডের অফিস ও কারখানায় হানা দেন আয়কর দফতরের অফিসাররা। কালো টাকার খোঁজে কলকাতাতেও শুরু হয় তল্লাশি।
ধীরজ সাউয়ের পরিবার কীভাবে জড়িয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে?
কংগ্রেস সাংসদের অফিস ও কারখানা থেকে এই বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোটকে একযোগে আক্রমণ করেছে বিজেপি। অস্বস্তি এড়াতে এই ঘটনায় দলীয় যোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস।
সূত্র অনুসারে, ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর,এই ধীরজ সাউর বাবা, বলদেও সাহু, দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য ভারত সরকারকে ৪৭ লাখ টাকা এবং ৪৭ কেজি সোনা দান করেছিলেন। ধীরজ সাউরা ছিলেন পাঁচ ভাই । এঁদের মধ্যে তিনি ছাড়াও চার ভাই রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন। তাঁর এক ভাই শিবপ্রসাদ সাউ লোকসভার সাংসদ ছিলেন, যিনি কংগ্রেসের টিকিটে রাঁচি আসন থেকে দুবার জয় লাভ করেছিলেন। তিনি ২০০১ সালের জানুয়ারি মাসে ৬৭ বছর বয়সে মারা যান। আরেক ভাই নন্দলাল সাউও মারা গিয়েছেন।
গোপাল সাউ, ধীরজের আরেক ভাই, কংগ্রেসের টিকিটে হাজারিবাগ থেকে ২০১৯ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কিন্তু পরাজিত হন। আরেক ভাই উদয় সাউ কংগ্রেস দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
ধীরাজ সাউ ঝাড়খণ্ডের ছাতরা আসনের জন্য দুবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কিন্তু জিততে পারেননি। ২০০৯ এর জুন মাসে তিনি উপ-নির্বাচনে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন এবং ২০১০ এর জুলাইয়ে তিনিপুনরায় নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের মে মাসে তিনি তৃতীয়বারের মতো রাজ্যসভার সদস্য হন। সাউ পরিবার কংগ্রেস দলকে আর্থিকভাবে এবং নির্বাচনী রাজনীতিতে, বিশেষ করে ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে সমর্থন করার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন :
সিকিমে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা, শীতের কামড় দার্জিলিংয়েও ! ঝট করে নামল তাপমাত্রা