Appointment Of New CDS : ৭-১০ দিনের মধ্যেই করতে হবে নিয়োগ, কে হবেন নতুন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ?
Appointment Of New CDS : চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদটি আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে পূরণ করা হবে, শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে। তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছেন সেনাবাহিনীর বর্তমান প্রধান মনোজ মুকুন্দ নরভনে
নয়াদিল্লি : কপ্টার-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (Chief of Defence Staff ) জেনারেল বিপিন রাওয়াতের (General Bipin Rawat)। কে হবেন পরবর্তী সিডিএস (CDS)? চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদটি আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে পূরণ করা হবে, শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, সশস্ত্র বাহিনীর যেকোনো কমান্ডিং অফিসার (Commanding officers) বা ফ্ল্যাগ অফিসার পদের জন্য যোগ্য।
উঠে আসছে একাধিক নাম। তবে তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছেন সেনাবাহিনীর বর্তমান প্রধান মনোজ মুকুন্দ নরভনে ( Manoj Mukund Naravane)। এই মুহূর্তে তিন বাহিনীর প্রধানদের মধ্যে তিনিই সিনিয়র মোস্ট। ২ নম্বরে রয়েছে বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরীর নাম। তবে তিনি এই পদে এসেছেন চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে। সিনিয়রিটির বিচারে সিডিএস হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন নৌসেনা প্রধান চিফ অফ নাভাল স্টাফ রাধাকৃষ্ণণ হরিকুমারও। তিনি দায়িত্ব নেন সপ্তাহখানেক আগে, ৩০ নভেম্বর। পদমর্যাদায় সিডিএস নম্বর ২ হলেও, চিফ অফ ইন্টিগ্রেটেড স্টাফ কমিটি এয়ার মার্শাল বিএম কৃষ্ণ সিনিয়রিটির বিচারে বাকিদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। সূত্রের খবর, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই বিপিন রাওয়াতের পদে খুব শীঘ্রই নিয়োগ করা হবে নতুন সিডিএস।
আরও পড়ুন :
অতীতে কপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ভারতের কোন কোন হেভিওয়েট রাজনীতিক ?
১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে যোগ দিয়েছিলেন সেনা বাহিনীতে। ৪৩ বছর পর, সেই ডিসেম্বরেই কপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ, জেনারেল বিপিন রাওয়াত। স্যাম মানেকশ, দলবীর সিং সুহাগের পর, তিনি গোর্খা ব্রিগেডের তৃতীয় অফিসার, যিনি দেশের সেনাপ্রধান হয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সেনাপ্রধান হয়েছিলেন। আর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ হন তিনি। দু’বছরের মাথায়, সেই ডিসেম্বরেই, ভয়াবহ কপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত। মূলত তিন বাহিনীর যৌথ বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মূল পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ। তিন বাহিনীর যৌথ মঞ্চ, ট্রাই-সার্ভিস অর্গানাইজেশনের প্রশাসনিক দায়িত্বও ছিল তাঁরই হাতে। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সরঞ্জাম কেনা ও পরিকল্পনা কমিটির সদস্যও ছিলেন সিডিএস। বিভিন্ন বিষয়ে বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো, সামরিক বিষয়ে কৌশল তৈরি করে, সরকারের সরকারের কাছে তা পেশ করতেন সিডিএস। তিন বাহিনীর যৌথ কার্যকলাপের উপরে বাৎসরিক রিপোর্টও দিতেন তিনি।