Unique beggar of Madhya Pradesh: হাতে ফোন-বারকোড! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ‘ডিজিটাল ভিখিরি’
Unique beggar of Madhya Pradesh:হেমন্ত সূর্যবংশীর বক্তব্য, তিনি একটা সময় নগর পালিকা পরিষদে কাজ করতেন। কোনও কারণে তাঁর চাকরি চলে গিয়েছিল। এরপর তাঁর আর কোনও কিছু করার ছিল না।
ভোপাল: বর্তমান সময়টা ডিজিটালের যুগ। আর প্রযুক্তির এই সুবিধা নিতে কে-ই বা পিছিয়ে থাকতে চায়! কিন্তু তা বলে ডিজিটাল ভিখিরিও! সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই একটি খবর সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া জেলার। সেখানে এক ভিক্ষুক নিজেকে ডিজিটালাইজ করে নিয়েছেন ভিক্ষে চাওয়ার সুবিধার জন্য। ওই ভিক্ষুকের নাম হেমন্ত সূর্যবংশী। ওই ব্যক্তি বলেছেন, অনেকেরই খুচরো না থাকার জন্য ভিক্ষে দেন না। আর এখন তিনি বারকোডের মাধ্যমে সহজেই ভিক্ষে নিয়ে নিতে পারেন। আর এই বারকোডের সাহায্যে এখন তাঁর দিন গুজরানও ভালো হচ্ছে।
চাকরি যাওয়ার পর ভিক্ষেকে পেশা হিসেবে বেছে নেন হেমন্ত
হেমন্ত সূর্যবংশীর বক্তব্য, তিনি একটা সময় নগর পালিকা পরিষদে কাজ করতেন। কোনও কারণে তাঁর চাকরি চলে গিয়েছিল। এরপর তাঁর আর কোনও কিছু করার ছিল না। রাস্তায় এধার-ওধার উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাফেরা করতেন তিনি। আর তা করতে গিয়েই পেট চালাতে ভিক্ষে চাইতে শুরু করেন। আর ভিক্ষে চাইতে গিয়ে দাতাদের খুচরো না থাকায় অনেকক্ষেত্রে তাঁরা দিতে চাননি। ফলে সমস্যার মুখে পড়তে হত তাঁকে। আর এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে তিনি ফোন পে ও গুগল পে-র পদ্ধতি অবলম্বন করেন। এখন লোকজন তাঁকে সহজেই ভিক্ষে দিতে পারে। শুধু তাই নয়, সেইসঙ্গে এখন প্রায়ই ভিক্ষে হিসেবে পাঁচ টাকার বেশি পেয়ে থাকেন।
হেমন্ত সূর্যবংশীর ভিক্ষে চাওয়ার পদ্ধতিও অন্যদের তুলনায় আলাদা। এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লোকজনকে তিনি প্রথমেই বলে দেন, বাবুজী খুচরো না থাকলে গুগল পে বা ফোন পে করে দিন। তাঁর ভিক্ষের এই পদ্ধতি লোকজনকে অবাক করে দেয়। তাঁর ‘ডিজিটাল’ ভিক্ষের ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওতে হেমন্ত সূর্যবংশী সম্পর্কে তথ্য জানা গিয়েছে। বিগত কিছুদিন তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যাতে হেমন্তকে হাতে ফোন ও বারকোড নিয়ে লোকের কাছে ভিক্ষে চাইতে দেখা গিয়েছে। নেটিজেনদের চোখে পড়েছে এই ভিডিও এবং তাঁরা সেই ভিডিও প্রচুর সংখ্যায় শেয়ার করছেন।