Manmohan Singh Memorial: কোথায় তৈরি হবে মনমোহনের স্মৃতিসৌধ? জায়গা সুপারিশ করল কেন্দ্র, বেছে নিতে বলা হল পরিবারকে
Narendra Modi Government: মনমোহনের পরিবার নিজেদের মতামত জানালে নির্মাণকার্য শুরু হবে।
নয়াদিল্লি: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হল। স্মৃতিসৌধ তৈরির জন্য কিছু জায়গার তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। মনমোহনের পরিবারের মতামত চাওয়া হয়েছে সেব্যাপারে। তালিকার মধ্যে থেকে যে কোনও একটি বেছে নিতে বলা হয়েছে। মনমোহনের পরিবার নিজেদের মতামত জানালে নির্মাণকার্য শুরু হবে। (Manmohan Singh Memorial)
দিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, মনমোহনের স্মৃতিসৌধ তৈরির জন্য যে জায়গাগুলির সুপারিশ করেছে কেন্দ্র, তার মধ্যে রয়েছে দিল্লির রাজঘাটে রাষ্ট্রীয় স্মৃতি স্থলের কাছে ১ থেকে ১.৫ একরের একটি জায়গা। কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক ইতিমধ্যেই ওই জায়গা পরিদর্শন করে দেখেছে বলে জানা গিয়েছে। (Narendra Modi Government)
কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া নীতি অনুযায়ী, স্মৃতিসৌধর তৈরির জন্য বরাদ্দ জমি একটি ট্রাস্টের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তাই নির্মাণকার্যে হাত দেওয়ার আগে প্রথমে ট্রাস্ট গঠন করতে হয়। ট্রাস্ট গঠন হয়ে গেলে, তাদের তরফেই জমির জন্য আবেদন জমা পড়ে। সেই মতো নির্মাণ বিভাগের সঙ্গে মউ স্বাক্ষরিত হয়।
এখনও পর্যন্ত যা খবর, রাজঘাটের কাছে মনমোহনের স্মৃতিসৌধের নির্মাণ হতে পারে। সেখানে মহাত্মা গাঁধী, জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গাঁধী, রাজীব গাঁধী, সঞ্জয় গাঁধী, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, অটলবিহারি বাজপেয়ী, চন্দ্রশেখর, এপিজে আব্দুল কালামের স্মৃতিসৌধ রয়েছে। মনমোহনের স্মৃতিসৌধ তৈরির জন্য কংগ্রেসের তরফে আবেদন জমা পড়েছিল কেন্দ্রের কাছে।
গত ২৬ ডিসেম্বর মারা যান মনমোহন। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। প্রথমে বাড়িতে সংজ্ঞা হারান তিনি। তড়িঘড়ি দিল্লির AIIMS-এ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ৯২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মনমোহনের মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতিসৌধ এবং শেষকৃত্যস্থল নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধ বাধে কংগ্রেসের। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন। রাজঘাটেই মনমোহনের শেষকৃত্য এবং স্মৃতিসৌধ তৈরির আবেদন জানান তিনি।
কিন্তু কেন্দ্র রাজঘাটে শেষকৃত্যে রাজি হয়নি। নিগমবোধ শ্মশানে মনমোহনের শেষকৃত্য হয় শেষ পর্যন্ত। স্মৃতিসৌধ নিয়েও কেন্দ্রের তরফে প্রথমে কোনও জবাব আসেনি। সেই নিয়ে টানাপোড়েন চরমে পৌঁছয়। পরস্পরকে আক্রমণ করতে নেমে পড়ে বিজেপি এবং কংগ্রেস। এমনকি নিগমবোধ ঘাটে মনমোহনের শেষকৃত্য নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়। কেন্দ্র প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করেছে বলে অভিযোগ করেন খোদ রাহুল গাঁধী। শ্মশানঘাটে অব্যবস্থার অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়েও বিতর্ক বাধে। পর শেষ পর্যন্ত স্মৃতিসৌধ নির্মাণ নিয়ে বিবৃতি আসে।