NASA on Mars: মঙ্গলের মাটি ছোঁয়ার পথে নাসার মার্স রোভার ‘পারসিভিয়ারেন্স’
গত বছর জুলাই মাসে ফ্লোরিডা থেকে মঙ্গল যাত্রা শুরু করে ‘পারসিভিয়ারেন্স’। ৬ চাকার ওই অনুসন্ধানযান মঙ্গলপৃষ্ঠের ছবি তুলবে, মাটির প্রকৃতি বিশ্লেষণ করবে। গোটা প্রক্রিয়ার সব ছবি ও তথ্য পাঠাবে নাসাকে। এই যানে যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য একটি ক্যাপসুলের মধ্যে ঢুকিয়ে মঙ্গলযানের সঙ্গে পাঠানো হয়েছিল।
নয়াদিল্লি: সাত মাসের যাত্রা শেষের পথে। এই সপ্তাহেই মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে নাসার মার্স রোভার ‘পারসিভিয়ারেন্স’। পৃথিবী থেকে প্রায় ২০৪০ লক্ষ কিলোমিটার দূরে মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করতে চলেছ। এমনটাই সঙ্কেত পেয়েছেন জেপিএল-এর বিজ্ঞানীরা। সম্ভবত, বৃহস্পতিবারই লাল গ্রহের মাটি ছুঁয়ে ফেলবে।
গত বছর জুলাই মাসে ফ্লোরিডা থেকে মঙ্গল যাত্রা শুরু করে ‘পারসিভিয়ারেন্স’। ৬ চাকার ওই অনুসন্ধানযান মঙ্গলপৃষ্ঠের ছবি তুলবে, মাটির প্রকৃতি বিশ্লেষণ করবে। গোটা প্রক্রিয়ার সব ছবি ও তথ্য পাঠাবে নাসাকে। এই যানে যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য একটি ক্যাপসুলের মধ্যে ঢুকিয়ে মঙ্গলযানের সঙ্গে পাঠানো হয়েছিল।
কীভাবে এবং কবে মঙ্গলের মাটি ছোঁবে ‘পারসিভিয়ারেন্স’? তা নিয়ে উৎকন্ঠার শেষ নেই সাধারণ মানুষের। জানা গিয়েছে, সফল এই অবতরণের সঙ্কেত ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে লস এঞ্জেলে্সের জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরিতে। তবে তার আগে ৭ মিনিটের আতঙ্ক কাটিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যার নাম সেভেন মিনিটস অব টেরর। কী এই আতঙ্ক? শেষ ৭ মিনিটের মধ্যে ওই যান-সহ ক্যাপসুলটি ধীরে ধীরে আছড়ে পড়ে এক জায়গায় থেমে যাওয়ার কথা। তারই নাম সেভেন মিনিটস অব টেরর।
যদিও এই ঘটনা ঘটেনি বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জেপিএল-এর অবতরণ বিভাগের বিজ্ঞানী আল চেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, সাত মিনিটের এই সময়টাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং জটিল। যতক্ষণ পর্যন্ত না অবতরণ করছে ততক্ষণ নিশ্চিন্ত হওয়া যায় না। যা ‘পারসিভিয়ারেন্স’-এর ক্ষেত্রে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর ঠিক এই কারণে সুরক্ষার সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমন জায়গায় ‘পারসিভিয়ারেন্স’ অবতরণ করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যেখানে আগে কখনও মহাকাশযান নামানোর চেষ্টা করেনি।