(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
কেরল বিধানসভায় নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশ, ‘অসংবিধানিক ও অবৈধ’ বললেন রাজ্যপাল
নরেন্দ্র মোদিকে স্বৈরাচারী শাসক নাৎসি পার্টির নেতা হিটলারের সঙ্গে তুলনা।
নয়াদিল্লি: কেরল আগাগোড়াই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধী। বামশাসিত এই রাজ্যে কেন্দ্রের আইনের বিরোধিতায় শাসক সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বিরোধী কংগ্রেসও। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালা বিজেপি এবং আরএসএস বিরোধিতায় একযোগে রাস্তায়ও নেমেছেন। এবার সেই বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে বিধানসভাতেও হাত মেলায় সরকার ও বিরোধী পক্ষ। কংগ্রেসের সমর্থনেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে কেরল বিধানসভায় পাশ হয় প্রস্তাব। যার তীব্র নিন্দা করলেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। কেরলের রাজ্যপালের দাবি, যেহেতু নাগরিকত্বের বিষয়টি একেবারেই কেন্দ্রের অধীন, সেক্ষেত্রে বিধানসভায় পাশ হওয়া প্রস্তাবের কোনও সাংবিধানিক বৈধতাই নেই।
প্রসঙ্গত, সিপিএম শুরু থেকেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে সংবিধান বিরোধী তকমা দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, এই আইন ভারতের ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ পরিপন্থী। এই আইন ধর্মীয় বিভাজনের রাস্তা তৈরি করছে বলেও বিজেপি-র বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে তারা। বিজয়ন যেমন বলেছেন, “সংবিধানের ভাবনার সঙ্গে এই আইনের অসঙ্গতি রয়েছে। মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, সে কথা মাথায় রেখেই সরকারের উচিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রনয়নের সিদ্ধান্ত বাতিল করা এবং সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষতা তুলে ধরা।” এখানেই শেষ নয়, নরেন্দ্র মোদিকে স্বৈরাচারী শাসক নাৎসি পার্টির নেতা হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেও আক্রমণ শানিয়েছেন বিজয়ন। তিনি বলেন, “আরএসএস মুসলিম, খ্রিস্টান ও কমিউনিস্টদের শত্রু মনে করে। জার্মানিতে হিটলারও ইহুদি ও বলশেভিকদের শত্রু মনে করত। হিটলারের নীতিই আরএসএস-এর নীতি।”