Omicron in Britain: একদিনেই দ্বিগুণ বাড়ল ভাইরাস-ঝড়, ওমিক্রন দাপটে চিন্তা বৃদ্ধি ব্রিটেনে
Britain Omicron Cases: পরিসংখ্যান বলছে ব্রিটেনে কোভিড-১৯ এর ওমিক্রন প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যা এক দিনে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
লন্ডন: চোখের পলকে যেন সংক্রমণ বাড়ছে। বৃহস্পতিবারও ব্রিটেনে (Britain) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২৪৯ জন। পরিসংখ্যান বলছে ব্রিটেনে কোভিড-১৯ (Covid-19) এর ওমিক্রন (Omicron) প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যা এক দিনে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ব্রিটেনে শুধু এই প্রজাতিতেই আক্রান্ত হয়েছে মোট ৮১৭ জন। সে দেশের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (UK Health Security Agency ) এই আক্রান্ত বৃদ্ধির হার ও সংক্রমণ এমন দ্বিগুণ গতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকলে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সংখ্যার ৫০ শতাংশ হবে ওমিক্রনের ফলে।
আগামী দু'সপ্তাহে এই বৃদ্ধি দেখা দিতে পারে। এরপরের দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে অনেকটাই বাড়তে পারে সংক্রমণ। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এর আগে বলেছিলেন যে কিছুটা হলেও হয়ত কমতে পারে ওমিক্রনের সংক্রমণ। কারণ ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কঠোর কোভিড বিধি আরোপ করা হয়েছে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম, মাস্ক পরা, কোভিড ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
UKHSA প্রধান চিকিৎসক উপদেষ্টা ডাঃ সুসান হপকিন্স বলেন, "এটি স্পষ্ট যে ওমিক্রন অত্যন্ত সংক্রামক। প্রাথমিকভাবে যে ক্লিনিকাল প্রমাণ রয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে সংক্রমণের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন-অর্জিত এবং প্রাকৃতিকভাবে অর্জিত অনাক্রম্যতা উভয়ই হ্রাস পেয়েছে। তাই এখন সংক্রমণের চেন ভাঙা খুব গুরুত্বপূর্ণ। টিকাকরণ, বুস্টার ডোজ নিয়েই ঠেকাতে হবে।"
আরও পড়ুন, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধই থাকছে আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী উড়ান, ঘোষণা কেন্দ্রের
সম্প্রতি ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ হাউস অফ কমন্সে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইংল্যান্ডের একাধিক অঞ্চলে এখন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রয়েছে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায়, "এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের কোনও যোগসূত্র নেই। সুতরাং এটা মনে করা যেতেই পারে যে ব্রিটেনে কমিউনিটি সংক্রমণ হয়েছে।" মন্ত্রী সংসদে এও জানান যে আন্তর্জাতিক উড়ান ও সে দেশে ভ্রমণের রেড লিস্টে নাইজেরিয়াকেও যোগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, "আমরা কবে সুযোগ আসবে সেই ভরসায় বসে থাকছে না। আমাদের এখনের স্ট্র্যাটেজি হল সুরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলা।"
টিকাকরণ যদিও চলছে ব্রিটেনে কিন্তু ওমিক্রনের দাপট বৃদ্ধি পাওয়ায় কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেন, এখনই বলা সম্ভব নয় কোন পথে যেতে চলেছি। এই প্রজাতি কতটা মারাত্মক হতে চলেছে, কতটা প্রভাব পড়বে সেই চিত্র এখনও স্পষ্ট নয়। তাই আমরা আদৌ পুনরুদ্ধার করতে পারছি কি না তা সময় বলবে।