East Midnapore: পরিবার বিজেপি করায় অবিবাহিতা শংসাপত্র দিতে 'আমরা-ওরা' পঞ্চায়েতের, কন্যাশ্রীর সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছাত্রী
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান, আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর...
![East Midnapore: পরিবার বিজেপি করায় অবিবাহিতা শংসাপত্র দিতে 'আমরা-ওরা' পঞ্চায়েতের, কন্যাশ্রীর সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছাত্রী East Midnapore Nandigram TMC run panchayat accused of non-issuance unmarried certificate delaying Kanyasree benefits families BJP workers East Midnapore: পরিবার বিজেপি করায় অবিবাহিতা শংসাপত্র দিতে 'আমরা-ওরা' পঞ্চায়েতের, কন্যাশ্রীর সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছাত্রী](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/07/20/034b061b7a8a6b7da5ea7393fc1965b7_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
বিটন চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম: কন্যাশ্রী প্রকল্পের সহায়তা পেতে লাগবে অবিবাহিতার শংসাপত্র। আর সেই শংসাপত্র পেতে আমরা-ওরার অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে।
নন্দীগ্রামের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, তারা বিজেপি করার অপরাধে ওই শংসাপত্র দিচ্ছেন না গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
দিনকয়েক আগে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া এলাকায় ছেলের জন্মের শংসাপত্রর জন্যে স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র পেতে হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল প্রধানের বিরুদ্ধে।
এবার নন্দীগ্রামের সেই বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য অবিবাহিতর শংসাপত্র না দেওয়ার অভিযোগ করলেন নন্দীগ্রামের ২ ব্লকের ঘোলপুকুর এলাকার বাসিন্দা পিন্টুলাল।
তাঁর অভিযোগ, মেয়ে স্থানীয় আমদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বিদ্যালয় থেকে বলে দিয়েছে, কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে আবেদনপত্রের সঙ্গে দিতে হবে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া ওই ছাত্রীর অবিবাহিত শংসাপত্র।
কিন্তু ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, যেহেতু তাঁরা বিজেপি করেন, সেইজন্য তৃণমুল পরিচালিত বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুকেশ মান্না তাঁদের সেই শংসাপত্র দিচ্ছেন না।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুকেশ মান্না। তার বক্তব্য, আমার পক্ষে কার বিয়ে হয়েছে কার হয়নি তা জানা সম্ভব নয়। সেই জন্য ওই এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের শংসাপত্র আনতে বলেছিলাম, তা তাঁরা করেননি। সেই জন্য শংসাপত্র দেওয়া যায়নি।
আর এই ঘটনা সামনে আসায় রাজ্যের শাসকদলের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, শুধুমাত্র বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের পরিবারগুলিকে এইভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে, প্রধানের কাছ থেকে শংসাপত্র না পেয়ে নন্দীগ্রামের ২ ব্লকের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে ওই ছাত্রী।
নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের বিডিও অখিলেশ সাহা জানিয়েছেন, দ্রুত পদক্ষেপের জন্য প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিডিওর এই আশ্বাসে কতদিনে ওই ছাত্রী তার অবিবাহিতর শংসাপত্র পায়, কত তাড়াতাড়ি বা তার কন্যাশ্রী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)