WB Election 2021: 'রাজ্যে উৎপাদিত অক্সিজেন অন্যত্র চলে যাচ্ছে, জোগান নিশ্চিত করুন' মোদিকে চিঠি মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে লিখেছেন, 'রাজ্যের চাহিদা মতো অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে না। উল্টে গত ১০ দিনে রাজ্যে উত্পাদিত অক্সিজেন অন্য রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে।
কলকাতা: রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যকে প্রয়োজন মতো অক্সিজেন সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফের চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭০ মেট্রিক টন মেডিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা ছিল। আগামী ৭-৮ দিনে অক্সিজেনের দৈনিক চাহিদা ৫৫০ মেট্রিক টনে পৌঁছতে পারে। কাজেই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের চাহিদামতো অক্সিজেন সরবরাহ করা হোক।' উল্লেখ্য, চিঠির উপরে মুখ্যমন্ত্রী পেন দিয়ে লিখেছেন ‘Very Urgent’(খুব জরুরি)।
জরুরি চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লিখেছেন, 'রাজ্যের চাহিদা মতো অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে না। উল্টে গত ১০ দিনে রাজ্যে উত্পাদিত অক্সিজেন অন্য রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এখন রাজ্যকে দিনে ৩০৮ মেট্রিক টন অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে, যেখানে রাজ্যের চাহিদা অনেক বেশি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রয়োজনমতো অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী যেন নির্দেশ দেন, চিঠিতে সেই অনুরোধই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ, বিগত ১০ দিনে এ রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়া অক্সিজেনের পরিমাণ ২৬০ মেট্রিক টন, আগে যেটা ছিল ২৩০ মেট্রিক টন। আর বাংলার জন্য বরাদ্দ করে রাখা হয়েছে ৩০৮ মেট্রিক টন অক্সিজেন। যদিও আপাতত রাজ্যে অক্সিজেনের চাহিদা রয়েছে ৫৫০ মেট্রিক টন।
গত ২ মে তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মমতা। তারপরই জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে করোনার সঙ্গে লড়াই-এ সরকারের প্রথম কাজ। এরপরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন ফের একবার জরুরি চিঠি লিখে মমতা জানান, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে মেডিক্যাল অক্সিজেনের বরাদ্দ না বাড়ালে রাজ্যজুড়ে অক্সিজেন সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটবে। ফলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে বলেও চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যজুড়ে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে অক্সিজেনের জোগানও। কলকাতার হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের আকাল ভয় ধরিয়েছে চিকিৎসকদের মধ্যেও।