Rampurhat Fire: ব্লক প্রেসিডেন্টের গ্রেফতারি, ক্ষতিপূরণ, নিরাপত্তা, বগটুইয়ে পা রেখেই একাধিক নিদান মমতার

রামপুরহাটে মমতা।

বগটুইয়ের ঘটনায় গত দু’দিনে চরমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলছেন বিরোধীরা। সেই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে শোকার্ত পরিবারগুলির মাঝে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

প্রথমে শাসকদলের নেতাকে বোমা মেরে খুন এবং তার এক ঘণ্টার মধ্যে এলাকার ১০টি বাড়িতে আগুন, শিশু-সহ ৮ জনের মৃত্যু। তা নিয়ে গত দু’দিন ধরে কম সমালোচনায় পড়তে হয়নি শাসকদলকে।

সেই পরিস্থিতিতে এ দিন বগটুই পৌঁছেই মমতা জানিয়ে দেন, খবর পেয়েও সময়ে পুলিশ না পাঠানোয় ব্লক সভাপতি আনারুলকে গ্রেফতার করা হবে। হয় আনারুল নিজে গিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করুন, নইলে বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করবে বলে সাফ জানিয়ে দেন মমতা।

এসডিপিও, আইনসি-র ভূমিকারও তীব্র সমালোচনা করেন মমতা। এমন ভাবে মামলা সাজানোর নির্দেশ দেন, যাতে আগামী কয়েক বছরেও জামিন না মেলে। পুলিশের তরফে কোনও রকম ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না, কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হলে পুলিশের চাকরি না করা উচিত বলে কটাক্ষও করেন।

এ দিন মমতাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়িন শোকার্ত মানুষ জন। ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে অসুস্থ পড়েন এক প্রৌঢ়। তাঁর মুখে জলের ছিটে দিতে দেখা যায় মমতাকে। মাথায় হাত রেখে জলপট্টিও দেন।

বগটুইয়ে মমতা বলেন, “এই ঘটনা ভীষণ ভাবে ভয়াবহ। অত্যন্ত দুঃখ-ব্যথা এবং মর্মস্পর্শী ঘটনা। শুনেই ববিকে তড়িঘড়ি পাঠাই, পাঠিয়ে দিই কেষ্টকেও। ভাবতে পারিনি এত নৃশংস ঘটনা ঘটবে। শুধু কয়েকটি মানুষের জন্য এই অশান্তির আগুন।”

পুলিশের উদ্দেশে মমতা বলেন, “ভাল করে মামলা সাজাতে হবে।কারণ আমি শুনেছি, তিন-চার বছর আগে যে খুন হয়েছিল, হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে গিয়েছে পেয়ে গিয়েছে। সূচপুরের মামলাই দেখে নিন। তাই এমন ভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে জামিন না পেতে পারে।আমি কিছু শুনতে চাই না, যে একে-ওকে পেলাম না। দু’জন পালিয়ে গিয়েছে। যেখানেই পালাক ধরে নিয়ে আসতে হবে।”

এ দিন মমতা জানান, নিহতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ও যাঁদের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁদের ২ লক্ষ টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে।

মমতা জানান, জীবনের বিনিময়ে কিছু হয় না, টাকা-চাকরি কখনও বিকল্প হয় না। তবু সংসার চালাতে ১০ জনের পরিবারকে চাকরি দেওয়া হবে। প্রথম এক বছর তাঁরা ১০ হাজার টাকা করে পাবে। তার পরের বছর স্থায়ী হয়ে যাবে।

ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে ঘরছাড়া এলাকার বহু মানুষ। তাঁদের পুলিশি ঘেরাটোপে গ্রামে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। এলাকায় পুলিশ পিকেট রাখার কথা বলেছেন।