এক্সপ্লোর
Felix Baumgartner: মরণঝাঁপ বলে ধরে নিয়েছিলেন অনেকে, মহাশূন্য থেকে লাফ দিয়ে দিব্যি রয়েছেন ইনি
Science News: শুনেই চমকে উঠেছিলেন অনেকে। কিন্তু অসাধ্য সাধন করে দেখান এই ব্যক্তি। মহাশূন্য থেকে ঝাঁপ দিয়ে মাটি ছোঁন ইনি।

—ফাইল চিত্র।
1/10

কয়েক বছর আগে পর্যন্ত যা অসম্ভব ছিল, বিজ্ঞানের দৌলতে আজ তা আর অসম্ভব নয়। মহাকাশ গবেষণা থেকে উড়ান পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি অবশ্যই সহায়ক হয়েছে। তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে অনেকেরই, যাঁদের অনেকেই তেমন প্রচার পান না।
2/10

মহাকাশ গবেষণা থেকে উড়ান, বিজ্ঞান অনেকদূর এগোলেও, প্রাণের ঝুঁকি একেবারেই নেই, এমন নয়। তাই বলে জেনেশুনে মহাশূন্য থেকে ঝাঁপ দিতে পারেন! একদশক আগে, ২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর জেনেশুনে এই ঝুঁকি নিয়েছিলেন ফিলিক্স বাউমগার্টনার।
3/10

পেশায় স্কাইডাইভার ফিলিক্স অস্ট্রিয়ার নাগরিক। ঝুঁকি নিতে এমনিতে অভ্যস্ত তিনি। কিন্তু ৪৩ বছর বয়সে মহাশূন্য থেকে ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্তে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব।
4/10

তবে মহাকাশযান নয়, হিলিয়াম বেলুনে চেপে মহাশূন্যে উঠে গিয়েছিলেন ফিলিক্স। মাটি থেকে ৩৯ কিলোমিটার উঁচুতে উঠে যান তিনি। পিঠে ছিল একটিমাত্র প্যারাশ্যুট, সাধারণ ক্ষেত্রে উচ্চতা থেকে ঝাঁপিয়ে পড়তে যা ব্যবহার করা হয়।
5/10

বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার থেকে ঝাঁপ দেন ফিলিক্স। পৃথিবীর মাটি ছেড়ে ঊর্ধ্বমুখে এগোলে, বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তরকে বলা হয় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার।
6/10

সেখান থেকে ঝাঁপ দিতে বিশেষ স্পেসস্যুট পরতে হয় ফিলিক্সকে। কোনও রকম নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই সেখান থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি।
7/10

এই অসাধ্যসাধনে যদিও সফল হন ফিলিক্স। কিন্তু তাতে বিস্তর বাধা-বিপত্তির মুখে পড়তে হয় তাঁকে। বায়ুমণ্ডলের বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে যখন ফ্রি ফলে প্রবেশ করেন তিনি, যেখান থেকে সজোরে পৃথিবীতে এসে পড়ার কথা, আচমকাই বনবন করে ঘুরতে শুরু করে প্যারাশ্যুট, যার গতি ছিল প্রতি সেকেন্ডে ১১০০ ফুট।
8/10

প্যারাশ্যুট এমন বনবন করে ঘুরতে শুরু করলে নিজের শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। দুরন্ত ঘূর্ণির ফলে সংজ্ঞা থাকে না। সেই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হয়।
9/10

কিন্তু নিজের অভিজ্ঞতা এবং উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ফিলিক্স। নিরাপদেই মাটি ছোঁয় তার পর। বিশ্ব ইতিহাসে লেখা হয়ে যায় দীর্ঘতম ফ্রি-ফলের আখ্যান। সবমিলিয়ে ৯ মিনিট ৩ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন।
10/10

ফিলিক্সের এই অভিযান সফল করতে সেই সময় একজোট হয় বিজ্ঞানজগৎ। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মহাকাশচারীরা এই উপায়ে প্রাণ বাঁচাতে পারবেন কিনা, হাতেনাতে তার প্রমাণ পেতে সকলে ফিলিক্সকে সাহায্য করেন। ভবিষ্যতের এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য এই অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
Published at : 13 Nov 2023 07:00 AM (IST)
আরও দেখুন
Advertisement
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
বিনোদনের
খবর
জেলার
আইপিএল
Advertisement
ট্রেন্ডিং
