India vs Pakistan: চেজ়মাস্টার কোহলির ব্যাটের চাবুকে ধরাশায়ী পাকিস্তান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারত
Virat Kohli Century: ফের স্বমহিমায় কিংগ কোহলি। দুরন্ত সেঞ্চুরিতে রোশনাই ছড়ালেন মরুদেশে। বাংলাদেশের পর পাকিস্তানকেও দুরমুশ করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত।

দুবাই: কেউ বলছিলেন, টি-২০ ক্রিকেটের মতোই ওয়ান ডে ফর্ম্যাট থেকেও অবসর নেওয়া উচিত তাঁর। কারও কারও মতে, নির্বাচকদেরই উচিত ছিল আরও কড়া অবস্থান নেওয়ার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy 2025) দল থেকে সটান বাদ দিয়ে দেওয়া উচিত ছিল তাঁকে।
ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ভবিষ্যৎ যে সরু সুতোয় ঝুলছিল, তা হয়তো তিনি নিজেও উপলব্ধি করেছিলেন। আর ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তিনি বেছে নিলেন এমন এক ম্যাচ, যে ম্যাচকে বলা হয় বিশ্ব ক্রিকেটের কোহিনূর। ভারত বনাম পাকিস্তান (India vs Pakistan) দ্বৈরথ। আর সেই ম্যাচে ফের স্বমহিমায় কিংগ কোহলি। দুরন্ত সেঞ্চুরিতে রোশনাই ছড়ালেন মরুদেশে। বাংলাদেশের পর পাকিস্তানকেও দুরমুশ করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত।
আর সেই সঙ্গে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে উৎকণ্ঠা উপহার দিলেন কোহলি। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ পাকিস্তানই। যদিও গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়ে গেল পাক শিবিরে। কারণ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিয়ম হচ্ছে, দুটি গ্রুপ থেকে সেরা দুটি করে দল সেমিফাইনালে খেলবে। ভারত এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল। পাকিস্তান দুই ম্যাচেই পরাজিত। সোমবার নিউজ়িল্যান্ড খেলবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে নিউজ়িল্যান্ড জিতে গেলে পাকিস্তানের বিদায় ঘটে যাবে। বাংলাদেশ জিতলে ক্ষীণ সম্ভাবনা থাকবে মহম্মদ রিজওয়ানদের।
২০১৭ সালে শেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ট্রফি ঘরে তুলেছিল পাকিস্তান। ৮ বছর আগের সেই হারের মধুর প্রতিশোধও নিল টিম ইন্ডিয়া। ৪৫ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল ভারত। পরপর ২ ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ চারে ভারতের জায়গা পাকা। টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশ পাকিস্তানের গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কা। মহম্মদ রিজওয়ানদের এখন অপেক্ষা করে থাকতে হবে অলৌকিকের জন্য।
আরও পড়ুন: শুভমন বোল্ড হতেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলে বিতর্কে পাকিস্তানের স্পিনার
ম্যাচের প্রথমার্ধে ছিল ভারতীয় বোলারদের দাপট। পাকিস্তান টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ৪৯.৪ ওভারে ২৪১ রানে অল আউট হয়ে যায়। সউদ শাকিল সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন। মহম্মদ রিজওয়ান করেন ৪৬। বাবর আজম ২৩ করে ফেরেন। পাকিস্তানের মন্থর ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের প্রথমার্ধেই। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ৩ উইকেট কুলদীপ যাদবের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা ১৫ বলে ২০ রান করে ফেরেন। তবে শুভমন গিলের সঙ্গে ম্যাচের রাশ ধরে নেন কোহলি। শুভমন ৪৬ রান করে ফিরে যান। শ্রেয়স আইয়ার সঙ্গ দেন বিরাটকে। শ্রেয়স করেন ৫৬।
একটা সময় ভারতের জয় নিশ্চিত দেখালেও, কোহলির সেঞ্চুরি হবে কি না, প্রশ্ন ছিল। ৪১ ওভারের শেষে অঙ্কটা দাঁড়িয়েছিল, ভারতের ম্যাচ জিততে চাই ১৭ রান। আর তিন অঙ্কে পৌঁছতে কোহলির চাই ১৩। আর সেই পরিস্থিতিতে বল করতে এসে শাহিন শাহ আফ্রিদি তিনটি ওয়াইড-সহ চার রান অতিরিক্ত দেন। সমীকরণ দাঁড়ায়, ভারতের ম্যাচ জিততে চাই ৪ রান। আর কোহলির সেঞ্চুরির জন্য প্রয়োজন ৫ রান।
৪৩তম ওভারে বল করতে আসেন খুশদিল শাহ। যিনি শুভমন ও শ্রেয়সের ক্যাচ ফেলে ভারতকে বাড়তি সুবিধা করে দিয়েছিলেন। তাঁর প্রথম বলে খুচরো এক রান নিয়ে ৯৬-এ পৌঁছন কোহলি। অক্ষর পটেল সিঙ্গল নিয়ে কোহলিকে স্ট্রাইক দেন। তৃতীয় বলে এক্সট্রা কভার দিয়ে বাউন্ডারি মেরে মোক্ষলাভ কোহলির। যেন প্রমাণ করে দিলেন, বড় ম্যাচে তিনি এখনও চেজমাস্টার। সমর্থকদের মুখে ফিরল কিংগ কোহলি স্লোগান।
আরও পড়ুন: আইপিএলের এক মাস আগে প্রস্তুতি শুরু কেকেআরের, কারা যোগ দিলেন অনুশীলনে?
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
