এক্সপ্লোর
Advertisement
কোহলিদের কোচ বাছবেন কে, জলঘোলার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির অপেক্ষায় বোর্ড
উপদেষ্টা কমিটিকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে অ্যাড হক কমিটিকে কোচ বাছাইয়ের ভার দেওয়াটা ঠিক হবে কি না, বোর্ডের একাংশই তা নিয়ে সন্দিহান
নয়াদিল্লি: ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ নির্বাচন নিয়ে ফের ঝড় উঠতে পারে। বুধবার বোর্ডের একটি সূত্র সংবাদসংস্থাকে জানায় যে, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসকদের কমিটি (সিওএ) কোচ নির্বাচনের দায়িত্ব দিচ্ছে অ্যাড হক কমিটিকে। যে কমিটির প্রধান বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। তিন সদস্যের কমিটির বাকি দুজন হলেন অংশুমান গায়কোয়াড় ও শান্তা রঙ্গস্বামী।
যদিও পরে তা নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। যেহেতু সচিন তেন্ডুলকর-সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-ভিভিএস লক্ষ্মণকে নিয়ে গঠিত উপদেষ্টা কমিটিরই দায়িত্ব ছিল কোচ নির্বাচন করার। আগের দুবারই বিরাট কোহলিদের কোচের নাম চূড়ান্ত হয়েছে উপদেষ্টা কমিটির সবুজ সংকেত পাওয়ার পর। যদিও সেই কমিটির অস্তিত্বই এখন প্রশ্নের মুখে। উপদেষ্টা কমিটির তিন সদস্যের বিরুদ্ধেই স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছিল। পরে সচিন সেই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেও সৌরভ ও লক্ষ্মণকে উপদেষ্টা কমিটির পদ, আইপিএলে মেন্টরের দায়িত্ব ও ধারাভাষ্যকারের চাকরির মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নিতে বলা হয়েছে। ঘটনা হচ্ছে, সেই ব্যাপারটার ফয়সালা এখনও হয়নি। উপদেষ্টা কমিটিকে বাতিলও করেনি বোর্ড বা সর্বোচ্চ আদালত। তাই উপদেষ্টা কমিটিকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে অ্যাড হক কমিটিকে কোচ বাছাইয়ের ভার দেওয়াটা ঠিক হবে কি না, বোর্ডের একাংশই তা নিয়ে সন্দিহান।
সমস্যা মেটাতে অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বোর্ড। ভারতীয় ক্রিকেট পরিচালনার দায়িত্ব এখন সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস (সিওএ) বা প্রশাসকদের কমিটির ওপর। যে কমিটির প্রধান বিনোদ রাই। সূত্রের খবর, সিওএ চায় কোহলিদের কোচ নির্বাচনের দায়িত্ব কপিলদের কমিটির ওপর ছাড়তে। তবে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ চাইল তারা। উপদেষ্টা কমিটি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের শুনানিতে কী বলা হয়, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে বোর্ড। সুপ্রিম কোর্ট কোনও নির্দেশিকা না দিলে হয়তো কপিলদের ওপরই কোচ নির্বাচনের দায়িত্ব ছাড়া হবে।
এর আগে মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ নির্বাচনও করেছিল কপিলদের এই কমিটি। ডব্লিউ ভি রামনকে মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ বেছে নিয়েছিল অ্যাড হক কমিটি। বিতর্কও হয়েছিল তা নিয়ে। প্রশাসকদের কমিটির অন্যতম সদস্য ডায়ানা এডুলজি সেই নির্বাচনকে অসাংবিধানিক বলে তোপ দেগেছিলেন। দাবি করেছিলেন, একমাত্র সিওএ-রই এক্তিয়ার রয়েছে কোচ নির্বাচন করার। এমন আক্রমণাত্মক বিবৃতি শোরগোল ফেলে দিয়েছিল দেশের ক্রিকেটমহলে। অনেকেই মনে করেছিলেন, প্রশাসকদের কমিটির প্রধান বিনোদ রাইকে নিয়েই হয়তো ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এডুলজি।
বোর্ডের কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে যে, অ্যাড হক কমিটির দুই সদস্য – কপিল ও শান্তার বিরুদ্ধেও স্বার্থ সংঘাতে জড়ানোর অভিযোগ উঠতে পারে। কারণ বোর্ডের নতুন সংবিধান অনুযায়ী এই দুজনকে ক্রিকেটারদের সংগঠন তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হবে। ক্রিকেটারদের সংগঠন তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কীভাবে জাতীয় দলের কোচ বাছাই করতে পারেন, সে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কোনও কোনও মহল থেকে।
মঙ্গলবারই হেড কোচ-সহ জাতীয় দলের সমস্ত সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বোর্ড। বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুবছর কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা থাকলে এবং বয়স ৬০ বছরের কম হলে তবেই আবেদন করা যাবে। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩০ জুলাই। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের কথা মাথায় রেখে হেড কোচ রবি শাস্ত্রী, বোলিং কোচ ভরত অরুণ, ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার ও ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের মেয়াদ ৪৫ দিন বাড়ানো হয়েছে।
তারপরই কোহলিদের দায়িত্ব নেবেন নবনির্বাচিত কোচ। শাস্ত্রী-অরুণ-বাঙ্গার-শ্রীধরদের নতুন করে আবেদন করতে হবে না। তাঁরা এমনিই কোচ ও সাপোর্ট স্টাফের পদপ্রার্থী হিসাবে বিবেচিত হবেন।
খেলার (Sports) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
ক্রিকেট
খবর
ক্রিকেট
জেলার
Advertisement