IPL 2025: রাহুলকে রিটেন করবে না লখনউ? জাহির খানের বিস্ফোরক রিপোর্টের পরই জল্পনা তুঙ্গে
IPL Mega Auction: ২০২৫ সালে আইপিএলের মেগা নিলাম। তার আগেই দলগুলিকে জানাতে হবে, কোন কোন ক্রিকেটারকে তারা রিটেন করে রাখতে চায়।
লখনউ: গত বছরের আইপিএলের (IPL) ঘটনা। লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG) ম্যাচ হারার পর মাঠের মধ্যেই কে এল রাহুলকে ভর্ৎসনা করতে দেখা গিয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে। তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়, পরের আইপিএলে লখনউয়ের জার্সিতে আদৌ দেখা যাবে ভারতের তারকা ক্রিকেটারকে?
সেই জল্পনাতেই সিলমোহর পড়ার উপক্রম। কারণ, জাহির খানের বিস্ফোরক রিপোর্ট। শোনা যাচ্ছে, লখনউ সুপার জায়ান্টসের নবনিযুক্ত মেন্টর জাহির ২০২৪ সালে লখনউ সুপার জায়ান্টসের ব্যর্থতার কারণ নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করে জমা দিয়েছেন। সেখানে রাহুলের মন্থর ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তারপর থেকেই জোর গুঞ্জন, রাহুলকে রিটেন করার পথে হাঁটছে না লখনউ সুপার জায়ান্টস। সে যতই রাহুল কলকাতায় এসে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে বৈঠক করে যান না কেন।
শোনা যাচ্ছে, রাহুলকে ছেড়ে দিতে চলেছে লখনউ। ২০২৫ সালে আইপিএলের মেগা নিলাম। তার আগেই দলগুলিকে জানাতে হবে, কোন কোন ক্রিকেটারকে তারা রিটেন করে রাখতে চায়। লখনউ সুপার জায়ান্টসের রিটেন করার তালিকায় রাহুলের নাম না থাকারই সম্ভাবনা জোরাল।
আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল জানিয়ে দিয়েছে, সর্বোচ্চ ৬ ক্রিকেটারকে রিটেন করা ও রাইট টু ম্যাচ কার্ডের মাধ্যমে কেনার পদ্ধতিতে ধরে রাখতে পারবে দশ দল। তবে রাহুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়ে গিয়েছে জাহিরের রিপোর্টের পরই। ভারতের টি-২০ দল থেকেও বাদ পড়েছেন রাহুল। শোনা যাচ্ছে, রাহুলের ব্যাটিং নিয়ে প্রসন্ন নয় টিম ম্যানেজমেন্ট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ।
জাহির একা নন, লখনউ সুপার জায়ান্টসের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারও রিপোর্ট বানিয়ে জমা দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, রীতিমতো পরিসংখ্যান ধরে ধরে পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, রাহুল যে পরিমাণ বল নষ্ট করছেন যে, দলের ব্যাটিংয়ের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হচ্ছে।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের হাল হকিকত জানেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেরকম একজন বলেছেন, 'লখনউ ম্যানেজমেন্ট, যার মধ্যে মেন্টর জাহির খান ও কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারও রয়েছেন, পরিসংখ্যান ধরে ধরে একটা বিশ্লেষণ করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত ম্যাচে রাহুল দীর্ঘক্ষণ ক্রিজে কাটিয়েছেন ও রান করেছেন, সেখানেই লখনউ হেরেছে। তাতে বোঝা গিয়েছে ওঁর স্ট্রাইক রেট ম্যাচের গতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম এসে যাওয়ার পর থেকে রান ওঠার গতি আরও বেড়েছে। সেই পরিস্থিতিতে ব্যাটিং টপ অর্ডারে রাহুলের মতো কেউ এত মন্থর ব্যাটিং করলে দলের পারফরম্যান্সে তার প্রভাব পড়ছে।'